চুয়াডাঙ্গায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা র বড়বলদিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। শনিবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সীমান্তের ৮২নং মেইন পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত মুনতাজ আলী (৪০) দর্শনার মদনা-পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ছোটবলদিয়া গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। রাতে তিনি ভারতে মহিষ আনতে গিয়েছিলেন। এসময় বিএসএফের বিষ্ণপুর ক্যাম্পের টহল দল তার উপর গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মহিষটির পায়ে গুলি লাগলে সেটিও জখম হয়।
রবিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে বিএসএফ মুনতাজের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যায়। আর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জখম মহিষটিকে ভেকুর (ছোট ক্রেন) সাহায্যে ট্রাক্টরে তুলে নিয়ে যায়।
জানা যায়, মুনতাজ একটি গরু-মহিষ পাচারকারী দলের সঙ্গে নিয়মিত সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যেত। তার বাড়িটি দাড়িয়াগাছি বিলের পাড়ে। তার বাড়ি থেকে বিল পার হলেই আনুমানিক ৫০০ গজ দূরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বিষ্ণপুর ও মুকুন্দপুর। এই দাড়িয়াগাছি বিলের ধারেই পড়ে ছিল মুনতাজের গুলিবিদ্ধ মরদেহ। রাতে ৬-৭ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পায় এলাকাবাসী।
নিহত মুনতাজের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মুনতাজের স্ত্রী হাসিনা খাতুন জানান, রাতে তার স্বামী বর্ডারে গিয়েছিল গরু আনতে। সীমান্তে গুলির শব্দ শুনতে পায়। সকালে জানতে পারে তার স্বামী বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে। স্বামীর মরদেহটি যেন ফেরত পান সেই আবেদন তার।
ইউপি সদস্য নাসরিন সুলতানা পারুল বলেন, মুনতাজের একটি গ্রুপ আছে। তিনি বর্ডার পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গরু-মহিষ আনতে যেত। মাঝে কিছুদিন বন্ধ ছিল। এখন আবার কিছুদিন হলো এ কাজ শুরু করেছে। গত রাতে বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে বলে আমরা শুনেছি-জেনেছি। তার দুটি বাচ্চা আছে। এখন এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার লাশটা পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক জানান, সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে মহিষ আনতে গেলে বিএসএফ গুলি চালায়। এতে মুনতাজের মৃত্যু হয়।
এসজি