নবমীতে ভোলায় পুজার্থীদের উপছে পড়া ভিড়

দেবী দুর্গা কৈলাশ থেকে এ বছর গজে চড়ে পিত্রালয়ে এসেছে। ষষ্ঠী বোধনের মাধ্যমে মর্ত্যে এসেছিলেন তিনি। কৈলাশে ফিরবেন নৌকায় চড়ে। বুধবার (৫ অক্টোবর) বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে ফেরার যাত্রা করবেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। তাই পূজার শেষ সময়ে দেবী দুর্গার সামনে ভক্তি নিয়ে মাথা ঠুকতে মহা নবমীতে (মঙ্গলবার) ভোলা সদর উপজেলার ২৭টি পূজা মণ্ডপে ছিল পূজার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।
উপস্থিত সকলের চোখেমুখে ছিল বিষাদের ছাপ। দেবী দুর্গা চলে যাবেন, ভগবানের কৃপায় আবার তাঁকে দেখতে অপেক্ষা করতে হবে পুরো একটি বছর। এ জন্য বিষাদ কাজ করছিল পূজার্থীদের মাঝে।
এদিকে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দূর্গার আরাধনায় ব্যস্ত ছিলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
ভোলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সমস্ত উপজেলায় ২৭টি মণ্ডপের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গা পূজা পালিত হয়েছে। এজন্য উপজেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, উপজেলা প্রশাসনসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান সাধারণ সম্পাদক অসীম সাহা
পুজার্থী নিলিমা চক্রবর্তী বলেন, দেবী দর্শনে এসে ভালো লাগছে। আইনশৃঙ্খলার দিকটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। নির্বিঘ্নে মণ্ডপে ঘোরাঘুরি করেছি। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে কিছুটা বিষাদও আছে। আগামীকাল দেবী বিসর্জন হবে। পূজার শেষ দিনে আমরা চাই, দেবীর আগমনে পৃথিবী শান্তিময় হোক।
এ প্রসঙ্গে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাধারণ সম্পাদক অসীম সাহা বলেন, মহা নবমীর শুভেচ্ছা। অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এ বছর পূজা উদযাপন করতে পেরেছি। এটা সম্ভব হয়েছে সকলের সহযোগিতায়। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। আগামীকাল মহা দশমী। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবারের শারদীয় উৎসব। এ জন্য কিছুটা বিষাদও অন্তরে কাজ করছে।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সদর সার্কেল এসপি মোঃ ফরহাদ সরদার বলেন, মাননীয় পুলিশ সুপার মহদয়ের নির্দেশনায় আমরা আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। এখনো করছি।
তিনি আরও বলেন, সব সময় আমাদের জেলা পুলিশ টিমের মণ্ডপে মণ্ডপে টহল ছিল। দুর্গা বিসর্জনের আগ পর্যন্ত আমরা তৎপর আছি।
এসআইএইচ
