অপকর্মের অভয়ারণ্য বরগুনার বিসিক নগরী

শরৎ এলেই কাশফুলে ছেয়ে যায় বরগুনার বিসিক শিল্প নগরীর জন্য নির্ধারিত সংরক্ষিত এলাকাটি। কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে মানুষের ঢল নামে এখানে। তবে নানান কারনে অনিরাপদ ও ভয়ংকর হয়ে উঠছে এই এলাকাটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিসিক এলাকাটি চারদিক থেকে প্রাচীর ঘেরা। তবে বাহির থেকে ভেতরে প্রবেশের জন্য চারিদিকে বাশ-কাঠের মই ও ইটের স্তুপ রয়েছে। যার ফলে সহজেই দিনরাত সেখানে প্রবেশ করতে পারছেন মাদকাসক্তরা।
এখানে এখনো কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান এখনও গড়ে ওঠেনি। বিকাল হলে বিস্তীর্ণ এ এলাকায় প্রবেশের প্রধান গেট উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ভেতরে তেমন কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় বেপরোয়া কিশোরদের সহিংসতা, মাদক, ইভটিজিং সহ নানান অপকর্মের অভয়ারণ্য হয়ে উঠছে স্থানটি। তবুও কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারী নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানান, বিসিক নগরীর ভেতরে প্রতিনিয়ত চলে গাঁজা, ইয়াবা সেবন। কাশবনের কারণে আরো অনিরাপদ হয়ে উঠছে এলাকাটি। তার মাঝেই জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই কয়েকজন সেখানে সপ্তাহব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে। যেকোনো মূহুর্তে এখানে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে বিসিকের কাশবন কেটে রাখা উচিৎ বলে মনে করেন তারা।
এদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে এক উদ্যোক্তা অভিযোগ করেন, উদ্যোক্তা নামধারী একটি দালাল চক্র লোন সুবিধা পাওয়ার ও প্লোট নেওয়া জন্য মেলার আয়োজন করেছে। অধিকাংশ উদ্যোক্তাই জানেন না বিসিকে কিসের মেলা চলছে। কিছু ব্যক্তি নিজেদের সুবিধার জন্য কাউকে কিছু না জানিয়ে মেলার আয়োজন করে ছবি তুলে ডকুমেন্ট তৈরি করে রাখছে। পরবর্তীতে ভাউচার দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করবে তাই অনুমতি ছাড়াই এ মেলা চলছে। কোন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে সে দায় কে নেবে?
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মাইনুল ইসলাম বলেন, বিসিক শিল্প নগরীর সংরক্ষিত এলাকায় কাশফুল দেখতে বেশি দর্শনার্থী ভিড় করায় আইন- শৃঙ্খলার ঘাটতি থাকলে আমরা দ্রুত সম্ভব পুলিশ মোতায়েন করব। অপত্তিকর ঘটনা এড়াতে বরগুনা বিসিক কর্তৃপক্ষ জনসাধারণের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করলে আমাদের সকলের জন্য ভালো হয়। জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করলে আমাদের বাড়তি কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়েনের প্রয়োজন হবে না।
এ বিষয়ে বিসিক বরগুনার উপ-ব্যবস্থাপক কাজী তোফাজ্জেল হক জানান, এমন সব অভিযোগ তার কাছেও এসেছে। বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।
এএজেড
