৬ বছরেও হয়নি সেতু সংস্কার
নীলফামারীর জলঢাকায় ৬ বছর আগে বন্যায় দেবে গিয়ে সেতুর একাংশ ভেঙ্গে যাওয়া সেতুটি আজও সংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। তারা দ্রুত সেতুটি সংস্কারের দাবি জানান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সেতুটি। তারপরও মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতুর উপর আরেক একটি সেতু জোড়া লাগিয়ে চলাচল করছে। এখন পর্যন্ত সেতুটি সংস্কার করা হয়নি।
২০১৭ সালের ১০ আগষ্ট বন্যার পানির স্রোতে উপজেলার ডাউয়াবারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ডাউয়াবাড়ি চরভরট ওয়ার্ডে অবস্থিত এ সেতুর একদিক হেলে পড়লে জনদুর্ভোগ শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা জিয়া জানান, আমাদের উপজেলা বাজারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়ক। আর এই সড়কের উপর নির্মিত সেতুটি ত্রাণের টাকায় নির্মিত হয় ২০১৭ সালে। সেই সময় বন্যার পানিতে সেতুটি হেলে পড়লে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সড়ক ও সেতু চলাচল উপযোগী করতে এলাকাবাসীর সাহায্য সহযোগিতায় বালু ফেলাসহ বাঁশের ও কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। সেই বালুও গতবারের বন্যায় নষ্ট হয়ে সেতু আরো হেলে পড়লে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্তমান বাঁশ ও কাঠের সেতুটিও ঝুঁকিপূর্ণ। তারা বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে বিকল্প পথে দুই কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করেন। এই এলাকায় প্রায় পাচঁ হাজার লোকের বসবাস। তাই সেতুটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল বলেন, সেতুটি হেলে পড়ার দিনেই তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হক প্রধান ও প্রকৌশলী হারুন অর রশীদকে জানানো হয়েছিল। সেই সময় তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো সহ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু চার বছর হয়ে গেলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ত্রাণের ১২ লাখ টাকায় এ সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৭ সালের মে মাসে কাজ শেষ হয়। সেই সময় বন্যার পানিতে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছিল।
এসআইএইচ