শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধর্ম যার যার এ দেশ সবার: মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, ধর্ম যার যার এ দেশ আমাদের সবার । সেই চিন্তা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সব ধর্মের মানুষের কিছু দুষ্ট লোক থাকে। যে দুষ্ট লোকের কোন ধর্ম নেই, বর্ণ নেই, সম্প্রদায় নেই। তাদের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। এদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে সম্প্রীতির সমাবেশে সম্প্রীতির মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র ইসলাম বেবী।

মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রের চার মূলনীতি (গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষ, সমাজতন্ত্র) নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধ হলো । সকল ধর্মের, বর্ণের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। এ সম্প্রীতির কারণে আমরা ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জন করেছি। সে সম্প্রীতির বাংলাদেশ হলো বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।

বিভিন্ন ধর্মের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ইসলাম প্রচারের জন্য বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন করলেন। মাদ্রাসা শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড করলেন । তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইমাম হজুরদের কল্যাণের জন্য কল্যাণ ফাউন্ডেশন করলেন। সর্বোপরি মুসলিম হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সকলের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট করলেন।

সম্প্রীতির সমাবেশে বান্দরবানকে সম্প্রীতির সুতিকাগার বলে মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, সম্প্রীতির সুতিকাগার হলো বান্দরবান। কারণ সারাদেশে বিভিন্ন সম্প্রদায় ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে আছে । বান্দরবানের মতো এত সম্প্রদায় দেশের আর অন্য কোন জেলায় নেই।

মন্ত্রী আরো বলেন, আদিকাল থেকে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলে ভাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একে অন্যের সুখে দুখে সাথী হওয়ার ব্যাপারটি বান্দরবানে অনেক আগে থেকে ছিল । সম্প্রীতি আমাদের মধ্যে সবসময় ছিল । আজকে নতুন যুগে এসে এ সম্প্রীতি শব্দটি উদ্ভাবন হলো । সম্প্রীতি নিয়েয় আমাদের জন্ম।

সমাবেশে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, বান্দরবানে ১১ টি জাতির বসবাস। তাদের প্রত্যেকের প্রথাগত আইন আছে। প্রত্যেকে আইন মানে, নিয়ম কানুন মানে বলেই সবাই পাশাপাশি বসবাস করে আসছে।

তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের আইন না মানার কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ধর্মের কারণে শান্তি আসে। ধর্মকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়। সম্প্রীতির ক্ষেত্রে বান্দরবানকে একটি মডেল জেলা হিসেবে দেখা যায়। এদিকে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি তার সভাপতিত্বের বক্তব্যের বলেন, ১২ জাতির ঐকতান, সম্প্রীতির বান্দরবান। সম্প্রীতির দেশে বাস করি। আবহমান কাল থেকে আমরা একসাথে মিলেমিশে বাস করছি। পূজা, পার্বণেও আমরা এক সাথে কাজ করি।

তিনি আরো বলেন, সামাজিক মাধ্যমগুলো কঠোরভাবে মনিটর করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোন ধরনের যদি উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়ায় তাহলে তার প্রতি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আমাদের প্রত্যেকের যে নিজ নিজ দায়িত্ব আমাদের সর্তকভাবে পালন করতে হবে। অনুষ্ঠানের প্রথমেই হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান এ চার ধর্মের গুরুরা ধর্মে শান্তির কথা আগত অতিথিদের মাঝে তুলে ধরেন।
এএজেড

Header Ad

বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্বদানকারীদের মধ্যে অন্যতম নাহিদ ইসলাম। বর্তমানে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি তিনি একটি গণমাধ্যমে দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কিনা কথা বলেছেন সেই প্রসঙ্গেও।

আওয়ামী লীগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে মানুষ মেরে, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। তাদের কেবল বিচারের কাঠগড়াতেই উঠতে হবে না, ক্ষমা চাইতে হবে জনগণের কাছে। বিচার প্রক্রিয়ার আগে তাদের মাঠে থাকার অধিকার নেই, সুযোগও নেই।

তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার কোনো দলের কাছে নয়, জনগণের আকাঙ্ক্ষার কাছে দায়বদ্ধ। তাই বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের জন্য যতোই চাপ দিক, সংস্কার কমিশনের কাজের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচনের দিকে এগোবে সরকার।গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অন্তরায় যে আইনগুলো রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে। অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক নিরাপত্তা আরও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো আলোচনা পর্যালোচনা করে একটি রূপরেখা করার চেষ্টা করবো আমরা। যাতে নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে এদেশে মানুষ গণমাধ্যম চর্চা করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম সংস্কারে গঠিত কমিশন এমন আইন করবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ গণমাধ্যমে খবরদারি চালাতে না পারে।

গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার একের পর এক দাবি আদায়ের আন্দোলন সামলাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে নাহিদ বলেন, কিছু দাবি ন্যায্য হলেও সবগুলো নয়। এসব দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে।

Header Ad

মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে মাকে হত্যা করে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ নামের এক যুবক।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে মেয়ের বাসায় ছিলেন আবিদের বাবা নিয়াজ আহমেদ। ফলে বাড়িতে ছিলেন আবিদ ও তার মা। মাদকের টাকা জোগাড় করতে প্রায় সময় মা আনোয়ারা বেগমকে অত্যাচার করতেন আবিদ। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিজ বাড়িতে মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে থানায় এসে নিজেই আত্মসমর্পণ করেন তিনি। নিহত আনোয়ারা বেগমের মুখ, মাথা ও হাতে কোপের চিহ্ন রয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস জানান, হোসাইন মোহাম্মদ আবিদকে আটক করা হয়েছে। হত্যার কারণ জানতে তদন্ত করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটারসহ মোট ৯ জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অমান্য করায় এই ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিসিবি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটার ও এক ক্লাব কর্তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং সবাইকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। তাই এটিকে ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা হিসেবে নেওয়া যায় যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ওই ৮ ক্রিকেটার হলেন, তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়। স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয়। আর তেজগাঁও ক্লাবের কর্মকর্তা রবিন।

জানা গেছে, গত সোমবার পিকেএসফ ১ নম্বর মাঠে হওয়া সুপার লিগের ম্যাচে তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের টেকনিক্যাল কমিটি ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের শাস্তি দেয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার