কাপ্তাইয়ে নির্বিচারে গাছ কাটছে হর্টিকালচার সেন্টার
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি সদরে অবস্থিত হর্টি কালচার সেন্টারে নতুন ভবন ও সীমানা প্রাচীর নির্মানের জন্য অনুমতি ছাড়াই নির্বিচারে কাটা হচ্ছে বড় বড় গাছ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন ভবন নির্মানের জায়গায় বিভিন্ন ধরনের বড় বড় গাছ কাটা হয়েছে। এছাড়া পাশেই গিয়ে চোখে পড়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গিয়ে কাটা হয়েছে অনেক দিনের পুরানো বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ।
এ বিষয়ে ওই জায়গায় কাজ করা কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজকেও কিছু গাছ কাটা হয়েছে। তারা কাপ্তাই হর্টিকালচার সেন্টারের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলার জন্য জানান। কাপ্তাই হর্টিকালচার সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশিদুজামান ইমরান জানান, সম্প্রতি কাপ্তাই হর্টিকালচার সেন্টারের পুরাতন ভবনের সম্প্রসারনের জন্য নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। পুরাতন ভবনের জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য গাছ গুলো কাটা হয়েছে।
তবে সীমানা প্রাচীরে জায়গায় গাছ কর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই সীমানায় যে ব্যক্তি মালিকানাধীন গাছ রয়েছে তাকে কেবলমাত্র গাছের ডালপালা কাটতে বলা হয়েছে। ওখানে যে বড় বড় কিছু গাছ কাটা হয়েছে ওই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি ঘটনা শুনার পর সরজমিনে গিয়ে দেখবেন বলে জানান। এছাড়া নতুন ভবন নির্মাণের জন্য যে গাছ কাটা হয়েছে তার অনুমতি আছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মাসিক একটি সম্মনয় সভায় গাছ কাটার বিষয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে অনুমতি পাওয়া গেছে কিনা, এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
এদিকে কাপ্তাই হর্টিকালচার সেন্টারের সীমানা প্রাচীর এলাকার পাশে যিনি গাছ কেটেছেন তার নাম আপাই মারমা। এ বিষয়ে আপাই মারমা বলেন, কাপ্তাই হর্টিকালচার সেন্টারের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি গাছ গুলো কেটেছেন। এছাড়া এগুলো তার মালিকানাধীন গাছ বলে মন্তব্য করেন। তিনি এর পুর্বেও তার বাগানের গাছ গুলো কোন অনুমতি ছাড়াই কেটেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
কাপ্তাই বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ জানান, এই ধরনের গাছ কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট বন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন। তবে কাপ্তাই হর্টি কালচার সেন্টার অনুমতি নিয়েছে কিনা এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান বলেন, কাপ্তাই হর্টি কালচার সেন্টারের গাছ কাটার বিষয়ে অনুমতির বিষয়টা অনুমোদন হয়েছে কিনা তাঁর ঠিক মনে পড়ছেনা, এবিষয়ে তিনি নিশ্চিত হয়ে জানাবেন বলে জানান।
এএজেড