'দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করেও চলে না সংসার'
বাজারে নিত্য পণ্যের দাম যতই হু হু করে বাড়ছে। ততই যেন সাধারণ নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের কপালের ভাজ বড় হচ্ছে। বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দামের মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানবে কে? এর মধ্যে জ্বালানি তেল ও ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার শ্রমজীবী মানুষের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।
কালো বাজারিদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও, বাজার সিন্ডিকেট বন্ধ কর ও দাম কমাও জান বাঁচাও এমন দাবি নিয়ে গত ২৭ আগস্ট জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটা ইউনিয়নে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের উদ্যোগে ৬ কিলোমিটার পদযাত্রার মাধ্যমে তাদের কর্মসূচী কার্যক্রম চালু করে। ধারাহিক ভাবে সংগঠনটির জয়পুরহাটের ভাদসা ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে পথযাত্রার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় জয়পুরহাটের জেলা পাঁচুরমোড়ে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সমাপনী পথযাত্রার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের আহ্বায়ক ওয়াজেদ পারভেজ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সদস্য সচিব সুন্দরী ওরাঁও, জেলা সদস্য সামিউল ইসলাম বাবু, জেলা সদস্য সুধারাম বাবু হিটলার প্রমূখ।
কৃষক নেতা ওয়াজেদ পারভেজ বলেন, বর্তমান সরকারের শাসন ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। কারণ দফাও দফাও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, জ্বালানি তেল ও সারের দাম বৃদ্ধি করে মানুষের পকেটকাটা শুরু করেছে। ঠিক যেমনটা করেছিল দিনের ভোট রাতের অন্ধকারে চুরি করে ক্ষমতা ধরে রাখছে। ফলে অবিলম্বে যদি নিত্যপণ্যের দাম কমানো না হয় ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচী নিয়ে রাজপথে থাকবেন বলে তিনি জানান।
অঞ্জনা ওরাঁও বলেন বলেন, সরকার হামাগোর দুঃখ কষ্টের চিন্তা করে না। হামরা দিনে ৫ শত ইনকাম করেও সংসার চালাতে পারি না। কারণ বাজারে হামরা যা কিনতে যাই সব কিছুর দাম বেশি। সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারি না। রোগে আক্রান্ত হলে ভালো ডাক্তার দেখাতে পারি না। কবে হামাগোর নাভিশ্বাস বন্ধ হবে? সরকারে কাছে আবেদন জানাই হামরা বাঁচতে চাই।
এএজেড