শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আমদানি কনটেইনার হ্যান্ডেল চার্জ বাড়ল ৩৪ শতাংশ

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ল ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো বা প্রাইভেট আইসিডিতে কনটেইনার হ্যান্ডেলে। এরই মধ্যে আইসিডি মালিকরা কনটেইনার হ্যান্ডলিং চার্জ ৩৪ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আমদানি কনটেইনার হ্যান্ডেল চার্জ আগে ছিল ৯৫০৪ টাকা। নতুন আরোপিত চার্য অনুযায়ী হ্যান্ডেল চার্জ ১২ হাজার ৮০৩ টাকা। প্রতি আমদানি কনটেইনার হ্যান্ডেল চার্জ বাড়ল ৩ হাজার ৩২৬ টাকা। প্রথম দফায় আমদানি পণ্য বোঝাই কনটেইনার সার্ভিস চার্জ বাড়ানো হয়। রপ্তানি পণ্য বোঝাই ও খালি কনটেইনারের সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর কথা বলা হয়নি। এবার এই দুই ধরনের কনটেইনার হ্যান্ডেল চার্জ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রপ্তানি কনটেইনারের ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কনটেইনার হ্যান্ডেল চার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) মালিকরা। বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে অনেকটা মুখোমুখি অবস্থায় বিকডা।

বিকডা সূত্র জানায়, গত বছরের নভেম্বরে সর্বশেষ ট্যারিফ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তা কার্যকর হয় ডিসেম্বর থেকে। ওই সময় ২০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনার পরিবহনের মাশুল ১ হাজার ১৫০ টাকা থেকে ২৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫০ টাকা এবং ৪০ ফুটের কন্টেনার ২ হাজার ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৮৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপর থেকে কোন ধরনের সার্ভিস চার্জ বাড়ানো হয়।

বিকডা আমদানি পণ্য বোঝাই কনটেইনার হ্যান্ডেল চার্জ বৃদ্ধির ঘোষণার পর থেকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ। আমদানিকারকদের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে চরম উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে কনটেইনার হ্যান্ডেল সার্ভিস চার্জ না বাড়াতে বিকডার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিকডার পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১১ আগস্ট থেকে আমদানি পণ্য বোঝাই কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ প্রায় ৩৪ শতাংশ বাড়ানো হয়। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ২০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনারের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ৫০৪ টাকার স্থলে ১২ হাজার ৮৩০ টাকা এবং ৪০ ফুট দীর্ঘ কন্টেনারের ক্ষেত্রে ১১ হাজার ৫ টাকার স্থলে ১৪ হাজার ৮৫৭ টাকা চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সার্ভে ও পোর্ট গেট চার্জ ফিসহ এই খরচ ২০ ফুট দীর্ঘ আমদানি পণ্য বোঝাই কনটেইনারের পরিবহন ৯ হাজার ৭৫৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩ হাজার ৮০ টাকা এবং ৪০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনারের ক্ষেত্রে ১১ হাজার ২৫৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার ১০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এব্যাপারে বিকডার সাধারণ সম্পাদক রহুল আমিন শিকদার মঙ্গলবার ঢাকা প্রকাশ-কে বলেন, আমদানি কনটেইনারেই বাড়তি হ্যান্ডেল চার্জ কার্যকর হয়েছে। রফতানি কনটেইনারের ক্ষেত্রে এখনো কার্যকর হয়নি। আগামী ২০ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে পারে। জ্বালানি তেল বৃদ্ধির কারণে হ্যান্ডেল চার্জ বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।

আমদানি পণ্য বোঝাই কনটেইনারের এই সার্ভিস কাজের মধ্যে আছে কনটেইনার বন্দর ইয়ার্ড থেকে ডিপোতে পরিবহন, কনটেইনার মুভার থেকে ডিপোতে নামানো বা লিফট-অন, ডিপো ইয়ার্ড থেকে ডেলিভারি ইয়ার্ডে কনটেইনার বহন, শুল্কায়নের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম এবং ডেলিভারির সময় ট্রাকে পণ্য বোঝাই কার্যক্রম ম্যানুয়ালি শ্রমিক দিয়ে করানো ইত্যাতি। এসব সেবার মধ্যে কেবল শ্রমিকদের ম্যানুয়ালি পণ্য ডেলিভারির ব্যবস্থা করা ছাড়া বাকি সব কাজই ডিজেল নির্ভর বলে বিকডার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এতে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এসব সার্ভিসের চার্জ বাড়াতে হয়েছে বলে বিকডা জানিয়েছে।

এদিকে আমদানি রফতানি সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। তারা বলেছেন, সার্ভিস চার্জ বাড়ানো হলে আমদানি রফতানি ব্যয় বাড়বে। তার সার্বিক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ভোক্তা পর্যায়ে। আমদানি পণ্য বোঝাই কনটেইনার হ্যান্ডলিং চার্জ ৩৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রভাব সবখানে পড়বে মনে করেন তারা।

কনটেইনার হ্যান্ডলিং চার্জ না বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে শনিবার (১৩) আগস্ট বিজিএমইএ'র পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দেয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, নানা সংকটে রয়েছেদেশের গার্মেন্টস খাত। কনটেইনার হ্যান্ডেল চার্জ বাড়ানো হলে গার্মেন্টস মালিকরা বেকায়দায় পড়বে। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে রফতানি বাণিজ্যের সক্ষমতা অর্জনের স্বার্থে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ট্যারিফ কমিটির অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত ট্যারিফ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, এভাবে হ্যান্ডেল চার্জ বাড়ানো উচিত হয়নি। আলাপ আলোচনা করেই হ্যান্ডেল চার্জ বাড়ানো দরকার ছিল। কনটেইনার হ্যান্ডেল করতে কতটাকা লাগতে পারে। কতটাকা ডিজেল খরচ হয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে বিকডার কাছে শিগগির চিঠি দেব। বিজিএমইএ'র দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে হুট করে ইসিডিগুলো হ্যান্ডেল চার্জ বাড়িয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি করা প্রায় সব রফতানি কনটেইনার হ্যান্ডেল হয় আইসিডিগুলোতে। আমরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা চাই দ্রুত চার্জ কমানো হোক। ইতিমধ্যে বিকডার পক্ষ থেকে বিজিমএইএর কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি বিকডা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। বিকডা আমদানি পণ্য বোঝাই কনটেইনারের পাশাপাশি রফতানি পণ্য বোঝাই ও খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। রফতানি পণ্য কনটেইনারে বোঝাই করা, ডিপোর অভ্যন্তরে পণ্য পরিবহন, পণ্য পরিবহনের ক্যারিয়ার ভাড়া ও কনটেইনারের মোট পণ্যের ওজনের ওপর সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিকডার একটি সূত্র জানায়, রফতানি পণ্য বোঝাই কনটেইনার ও খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ব্যাপারে আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশন ও শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা করে সার্ভিস চার্জ নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে।

প্রসঙ্গত চট্টগ্রাম বন্দরের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯টি বেসরকারি আইসিডি রয়েছে। এসব ডিপোতে শতভাগ রফতানি পণ্য কনটেইনার হ্যান্ডেল করা হয়। কনটেইনারে বোঝাই করা পণ্য সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরের হুক পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাইভেট আইসিডি থেকে। এ ছাড়া খাদ্যপণ্যসহ ৩৭ ধরনের আমদানি পণ্য জাহাজ থেকে বন্দরে নামানোর পর সেগুলো ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়। এসব পণ্য রপ্তানিকারকদের সরবরাহ দেয়ার কার্যক্রম বেসরকারি আইসিডিগুলোতেই পরিচালিত হয়।
এএজেড

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত