পেটানোর ঘটনায় পুলিশকে ধন্যবাদ ছাত্রলীগ সভাপতির
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ ছাত্রলীগকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বরখাস্তসহ বিচারের দাবি করেছেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। সোমবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ দাবি জানান।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কোন বক্তব্য দেননি। তবে ওই দিন রাতেই জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এ সময় পুলিশের লাঠি চার্জের ঘটনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা বলেন, পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। আমরা শোক-র্যালি নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির সামনে সড়ক প্রদক্ষিণের সময় দুষ্কৃতকারীরা আমাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। এতে পুলিশের গাড়িসহ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর হয়।
তিনি আরো বলেন, আমি জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই-তারা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনও নেতা-কর্মী সম্পৃক্ত থাকলে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালান। এতে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ছাড়াও শিল্পকলা একাডেমি ভবন আটকে গণহারে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পেটায় পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে দীর্ঘ আট বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। এতে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। এর পর থেকেই সদ্য ঘোষিত এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন পদবঞ্চিতরা।
এসআইএইচ