সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি, সমুদ্র বন্দরসমূহে সতর্কতা সংকেত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। পূর্ণিমা ও বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে।
রবিবার (১৪ আগস্ট) আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঝড়ের শঙ্কায় দেশের সব সমুদ্র বন্দরগুলোতে তিন নম্বর এবং নদীবন্দরগুলোর কোথাও দুই নম্বর আবার কোথাও এক নম্বর সতর্কতা সংকেত চলছে।
পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে লঘুচাপের কারণে গত মঙ্গলবার থেকে বরগুনায় বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জেলার প্রধান ৩টি নদী পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বরের জোয়ারের পানি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বরগুনার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষেরা। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে রয়েছে অনেক মানুষ।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার (১৪ আগস্ট) জেলার প্রধান ৩টি নদী পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বরে উঁচু জোয়ারের পানি বিপৎসীমার উপরে প্রভাবিত হচ্ছে। এর মধ্যে বিষখালীর বরগুনা অংশে ৭২ সেন্টিমিটার এবং পাথরঘাটা অংশে ১২৫ সেন্টিমিটারের উপরে প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, লঘুচাপের সংকেত পাওয়ার পর মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বরগুনার রেডিও অপারেটর গোলাম মাহমুদ জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বরগুনায় বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এ বৃষ্টিপাত কতদিন থাকবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এসআইএইচ