কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা মামলার দুই আসামি 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত
ছবি : সংগৃহীত
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হত্যা মামলার দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গত ২২ নভেম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
৩০ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাত সোয়া ১২টার দিকে শহরের সংরাইশ এলাকায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসি আনোয়ারুল আজিম।
নিহতরা হলেন, সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন (২৮) এবং সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২)।
সোহেল ও হরিপদকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের নাম ছিল যথাক্রমে ৩ ও ৫ নম্বরে।
ওসি আনোয়ারুল আজিম বলেন, ওই মামলার কয়েকজন আসামি সংরাইশ ও নবগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছে বলে খবর পাওয়া যায়। পরে কোতয়ালি মডেল থানা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল অভিযানে যায়।
পুলিশ কর্মকর্তা জানায়, 'পুলিশ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের কাছে পৌঁছালে আসামিরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ সদস্যরাও নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়। তখন ঘটনাস্থলে দুইজন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।'
ওসি আরও জানান, 'গুলিবিদ্ধ দুজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন'।
গোয়েন্দা পুলিশের এসআই পরিমল দাস বলছেন, 'এ অভিযানে পুলিশের তিনজন সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'
ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপ গান, পিস্তলের অব্যবহৃত গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি আনোয়ারুল আজিম জানান, এ ঘটনায় পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। নিহতদের লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
গত ২২ নভেম্বর বিকালে কুমিল্লা শহরের পাথুরিয়াপাড়ায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের সিমেন্টের দোকান থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী। সেখানে থাকা সোহেল এবং তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে তারা গুলি করে হত্যা করে। খুনিদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন আরও চারজন।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল ২০১২ ও ২০১৭ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।
হত্যা ঘটনার পরদিন সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১১ জনের নাম উল্লেখ করে সেখানে অজ্ঞাতনামা আরও ১০জনকে আসামি করা হয়।
টিটি/