সার্জারি বিভাগের মেঝে ছেড়ে চক্ষু বিভাগে অগ্নিদগ্ধরা
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আহত যাত্রীদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট বন্ধ থাকায় সার্জারি ইউনিটের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। তবে বিকালের দিকে অগ্নিদগ্ধ কিছু রোগীদের হাসপাতালের চতুর্থ তলার চক্ষু বিভাগে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে পঞ্চম তলার সার্জারি ইউনিটের মেঝেতে থাকা অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চক্ষু বিভাগে স্থানান্তর শুরু হয়।
এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের পাশাপাশি চিকিৎসায় সহায়তা করছে স্বেচ্ছাসেবী কয়েকটি সংগঠন। ইতোমধ্যে তারা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি খাবার ও কম্বল বিতরণ করেছেন।
চক্ষু বিভাগে কিছু রোগী স্থানান্তরের পর বরিশাল ১ আসনের সংসদ সদস্য ও পার্বত্য শান্তি চুক্তি কমিটির আহবায়ক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, বরগুনার ৩ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ রোগীদের সার্বিক খোজ খবর ও সহায়তার আশ্বাস দেন।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে ঢাকা থেকে সাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল পাঠানো হচ্ছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে এ তথ্য জানান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ড সামন্ত লাল সেন। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী আরো চিকিৎসক পাঠানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।
এসএম/এএন/এপি/