সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বাহার ম্যাজিকে নৌকার জয়, সাক্কুর কাঁটা ছিলেন কায়সার

বাহার ম্যাজিক আর কুমিল্লা আওয়ামী লীগের একতা রিফাতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে। অন্যদিকে মনিরুল হক সাক্কুর পরাজয়ের প্রধান কারণ হচ্ছেন আরেক মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। দুই জনই ছিলেন বিএনপির। যদিও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় দুই জনকেই বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করলেও পরোক্ষাভাবে আওয়ামী লীগ-বিএনপির লড়াই হয়েছে কুসিক নির্বাচনে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম দু’টি নির্বাচনে মেয়র পদে ভরাডুবির ঘটেছিল আওয়ামী লীগের। তবে তৃতীয়বারের লড়াইয়ে এবার সফল হয়েছে দলটি। বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে টানা ১৬ বছর মেয়রের দায়িত্বে থাকা মনিরুল হক সাক্কুকে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো মেয়র হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত।

দলীয় নেতাকর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে কুমিল্লা নগর আওয়ামী লীগে দৃঢ় ঐক্য এবং সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের ‘ম্যাজিক লিডারশিপের’ কারণে জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে আওয়ামী লীগ।

পক্ষান্তরে টানা ১৬ বছর দায়িত্বে থাকার পরও হ্যাট্টিক জয়ের মুখ দেখতে পারেনি সাক্কু। এর প্রধান কারণ তার ভোট দুই ভাগে বিভক্ত হওয়া। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘কাঙ্খিত উন্নয়ন’ করতে না পারা।

বুধবার (১৫ জুন) অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মেয়র মনিরুল সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। আরেক মেয়র প্রার্থী বিএনপির অপর নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট।

সাক্কুর পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কুমিল্লার রাজনীতি সচেতনরা বলছেন, বিএনপির একটি অংশ ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর পাশে। আরেক অংশ ছিল নিজামউদ্দিন কায়সারের সঙ্গে। যার ফলে বিএনপি’র ভোট দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। বলা যায়, সাক্কুর পরাজয়ে বড় নিয়ামক ছিলেন কায়সার। তার ঘোড়া দৌড়ের কারণেই ২৯ হাজার ৯৯ ভোট বের হয়ে যায় সাক্কুর পকেট থেকে। তাই নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই নগরীতে সাক্কুর পরাজয় নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ।

অপরদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত জয় পেয়েছেন মূলত ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ, ভোটের রাজনীতিতে কুমিল্লা সদের আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের জাদুকরি নেতৃত্ব আর সাক্কু-কায়সারের ভোট ভাগাভাগির কারণে।

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই বাবলু মনে করেন, ‘মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপির নেতৃত্বে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার আওয়ামী লীগ বেশি ঐক্যবদ্ধ ছিল। এ ছাড়া নগরীর ভোটাররাও পরিবর্তন চেয়েছে। সেক্ষেত্রে আরফানুল হক রিফাতই ছিল তাদের প্রথম পছন্দ। এ কারণেই আমরা এবার জয়লাভ করতে পেরেছি।’

একই কথা বলেছেন কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস। তিনি বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপির নেতৃত্বে মহানগর আওয়ামী লীগের ছিল অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ, অনেক বেশি শক্তিশালী। এ ছাড়া আমাদের সকল সহযোগী সংগঠন তার নেতৃত্বে একসঙ্গে কাজ করেছে। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ শক্তির কারণে, তাদের মনোবল শক্তির কারণে আমাদের সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের বিজয় হয়েছে, নৌকার বিজয় হয়েছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিজয় হয়েছে। আর এই বিজয়ের পেছনে পুরো কৃতিত্ব বাহারের ‘ম্যাজিক লিডারশিপ’।

কুমিল্লার রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক আহসানুল কবীর বলেন, প্রচার-প্রচারণা এবং সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগ এবার জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিল। সাংগঠনিকভাবে তারা অনেক সুশৃঙ্খল ছিল। সবচেয়ে বড় কথা তারা ভোটারদের মন জয় করতে পেরেছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভোটারদের আশ্বস্ত করতে পেরেছে- তাদের দ্বারা কুমিল্লার উন্নয়ন সম্ভব।

মেয়র পদে রিফাতের জয়ে এমপি বাহারের নেতৃত্বের প্রভাব ছিল কি না- এমন প্রশ্নে আহসানুল কবীর বলেন, অবশ্যই। তিনি সংগঠক হিসেবে অত্যন্ত দক্ষ এবং বিচক্ষণ। কুমিল্লা সিটিতে নৌকার জয়, এমপি বাহারের সাংগঠনিক দক্ষতা ও প্রজ্ঞার বহিঃপ্রকাশ।

এনএইচবি/এসজি/

Header Ad
Header Ad

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

কাতার সফর এবং পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ শেষে ঢাকায় ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সময় রোববার দুপুর দেড়টায় তিনি ইতালির রাজধানী রোম ত্যাগ করেন। এরপর সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৩টায় তাকে বহনকারী ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে।

গত শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূসও ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে তিনি শুক্রবার কাতারের দোহা থেকে রোমে পৌঁছান।

পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর শনিবার ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ক্যাথলিক চার্চের দুই শীর্ষ নেতা-কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি ও কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড।

তারা পোপ ফ্রান্সিসের দারিদ্র্য বিমোচন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের স্বপ্নের স্মৃতিচারণ করেন। পাশাপাশি, ড. ইউনূসের কাজের জন্য তাকে কৃতজ্ঞতা জানান এবং তাকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যবিরোধী আন্দোলনে তার অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করে বলেন, পোপ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন। তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ মানবিক নেতা।


এছাড়া শনিবার ভ্যাটিকানে জাতিসংঘ অফিসের সাবেক স্থায়ী পর্যবেক্ষক কার্ডিনাল তোমাসিও ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শেষে কার্ডিনাল তোমাসি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

Header Ad
Header Ad

টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

ছবি: সংগৃহীত

অ্যানফিল্ডে শিরোপা উৎসব করার সব প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন লিভারপুলের ফুটবলার ও সমর্থকরা। কিন্তু শুরুতেই গোল হজম করে নিস্তব্ধতা নেমে আসে গ্যালারিতে।

এক গোল খেয়ে গর্জে উঠতে সময় লাগেনি অলরেডদের। একের পর এক গোলে গ্যালারির লাল সমুদ্রে যেন উত্তাল ঢেউ উঠেছিল, ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতে তা সুনামিতে রূপ নেয়। ২০২৪-২৫ চ্যাম্পিয়ন্স লেখা জার্সি পরে উল্লাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। বিশেষ জার্সি পরে উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা যায় মোহাম্মদ সালাহ-ভার্জিল ফন ডাইকদের। রেকর্ড ছোঁয়া ২০তম প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতে রঙিন উৎসবে মেতে ওঠে লিভারপুল। সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ছুঁয়েছে তারা।

রবিবার লিভারপুলের দরকার ছিল কেবল এক পয়েন্ট। অ্যানফিল্ডে টটেনহাম হটস্পারকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে তিন পয়েন্ট আদায় করলো তারা। জিতেই চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করলো অলরেডরা। ৩৪ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট তাদের। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের ৬৭ পয়েন্ট। আর কোনোভাবেই লিভারপুলকে পেছনে ফেলা সম্ভব নয়। তাতে চার ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলে লিভারপুল।

টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। ছবি: সংগৃহীত

১২ মিনিটে ডমিনিক সোলাঙ্কের হেডে টটেনহাম এগিয়ে গিয়েছিল। লিভারপুল পিছিয়ে পড়লেও গর্জে ওঠে। গোল খাওয়ার চার মিনিট পর লুইস দিয়াজ সমতা ফেরান। ২৪তম মিনিটে অ্যালেক্স ম্যাক অ্যালিস্টার লিভারপুল এগিয়ে দেন। বিরতির আগে ৩৪তম মিনিটে তৃতীয় গোল করেন কডি গাকপো।

৬৩ মিনিটে সোবোসলাইয়ের পাস ধরে ডানপ্রান্ত দিয়ে জাল কাঁপান মোহাম্মদ সালাহ। চলতি প্রিমিয়ার লিগে ২৮তম গোল করে শীর্ষ গোলদাতার আসন আরও সুসংহত করলেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড। ১৮৫তম গোলে প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় সার্জিও আগুয়েরোকে পেছনে ফেলে পঞ্চম স্থানে উঠে গেলেন সালাহ।

ছয় মিনিট পর আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের ক্রস সালাহর কাছে পৌঁছানোর আগেই বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান টটেনহাম ডিফেন্ডার উডোগি।

ছবি: সংগৃহীত

লিভারপুলের আর্নে স্লট পঞ্চম কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমেই প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি জিতলেন। হোসে মরিনহো, কার্লো আনচেলত্তি, ম্যানুয়েল পেল্লেগ্রিনি ও আন্তোনিও কোন্তে এর আগে এই কীর্তি গড়েন।

ফেনুর্দকে শিরোপা জিতিয়ে ইংল্যান্ডে পা রেখে সফল হলেন স্লট। উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি বললেন, ‘কিছু জেতা সবসময় বিশেষ। আর সেটা আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, যদি আপনি প্রথম হন। আরও বিশেষ হওয়ার কারণ এমন একটি ক্লাবে এই সাফল্য পাওয়া, যাদের প্রত্যেক বছর লিগ জেতা হয়ে ওঠে না।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে অবস্থান করে নানা ধরনের ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য দিচ্ছেন।

সম্প্রতি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তবে মোদি জানিয়েছেন, তিনি শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না। কারণ দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উন্মুক্ত, এটা ব্যবহার করে কেউ বক্তব্য দিলে তিনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (২৭ এপ্রিল) আলজাজিরায় প্রধান উপদেষ্টার এই ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।

‘টক টু আল-জাজিরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, আওয়ামী লীগ সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ আসে।

আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার বলেন, শেখ হাসিনা দাবি করেন তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে এসব বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে তার অবস্থানকে কীভাবে দেখে?

এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হয়েছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিমসটেকভুক্ত দেশের সব সরকারপ্রধান এসেছিলেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয় এবং আমি তাকে স্পষ্ট করি, ঠিক আছে, যদি শেখ হাসিনাকে আপনি রাখতে চান। তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি যখন সেখানে থাকবেন, তার কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তার বক্তব্য আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করেন। আর এজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

এ সময় আল-জাজিরার সাংবাদিক জানতে চান, তখন মোদি কী বলেছিলেন। জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, ভারত হলো এমন দেশ যেখানে সামাজিক মাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কি না। তারা এখনো কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ অন্যান্য বিষয় রয়েছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সেটা নয়। অন্যান্য দল আছে যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

আল-জাজিরার উপস্থাপক এক পর্যায়ে প্রশ্ন করেন- এটা কি বলা ঠিক যে শেখ হাসিনার পতনের পরের মধুচন্দ্রিমা এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অন্যরা রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে। যেমন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারে?

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুটি বিষয়, একটি জনগণের অধৈর্য নিয়ে, তা মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে এখনো মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা বলছে না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেতে দাও। আজ আমাদের নির্বাচন। কেউ তা বলেনি। এই দিকেই আমরা যাচ্ছি। আমরা এমন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হইনি যেখানে লোকেরা বলছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের হস্তান্তর করো।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা, জাতিসংঘের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি এবং এই লোকেরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্যও কাজ করছি। আমাদের চিন্তা হলো, কীভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া তৈরি করা যায়, যাতে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে এবং নিরাপদ পুনর্বাসন করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা