আপেলের চালানে এলো ২২ লাখ সিগারেট
চট্টগ্রাম বন্দরে এবার ৪০ ফুট দীর্ঘ রিফার কনটেইনারের ভেতরে আপেলের পরিবর্তে এলো শলাকা সিগারেট। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা অন্তত ২২ লাখ ১৯ হাজার সিগারেট শলাকা জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা কায়িক পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) পণ্য চালানটি জব্দ করেন। উচ্চ শুল্কের এসব শলাকা সিগারেটের চালান জব্দ করে পাঁচ কোটি ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয় বলে জানান কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম নগরীর জুবলি রোড এলাকার মারহাবা ফ্রেশ ফ্রুটস নামের একটি ফল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আপেল ঘোষণা দিয়ে এসব সিগারেট আমদানি করে। আপেলের প্যাকেট থেকে মোট ২২ লাখ ১৯ হাজার শলাকা সিগারেট উদ্ধার করা হয়।
কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার সালাহউদ্দিন রিজভী বলেন, ‘মারহাবা ফ্রেশ ফ্রুটস নামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ তাজা আপেলসহ ফল আনার ঘোষণা দিয়ে আরব আমিরাত থেকে এক কনটেইনার পণ্য আমদানি করে। ৪০ ফুট দীর্ঘ রিফার কনটেইনারে এসব পণ্য আমদানি করা হয়। পণ্য আমদানি করতে ৬ ডিসেম্বর ডাচ বাংলা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে পণ্য আমদানির এলসি খোলা হয়।’
তিনি জানান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জিমি এন্টারপ্রাইজ চালান খালাসের জন্য গত সোমবার বিল অব অ্যান্ট্রি জমা দেয়। চালানটি প্রাথমিকভাবে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিটের কর্মকর্তারা পণ্যের খালাস আটকে দেয়। পরে বুধবার সারারাত কায়িক পরীক্ষা করা হয় পণ্য চালানের। পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে এক হাজার ১২০টি কার্টন পরীক্ষা করে ৭৫৪টিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। এর মধ্যে ছয় লাখ ৯১ হাজার ৪৮০ শলাকা মন্ড, ১৪ লাখ আট হাজার ৭২০ শলাকা ইজি, এক লাখ ১৮ হাজার ৮০০ ওরিস ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। কার্টনগুলোতে আপেল পাওয়া যায় ১৫ হাজার ৯৮ কেজি। এর মাধ্যমে পাঁচ কোটি ৩০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। আমদানিতে জড়িত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
টিএস/এএন