চট্টগ্রামে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ৫ প্রার্থী
পঞ্চম ধাপে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও চন্দনাইশ উপজেলার ৮ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ জানুয়ারি। এর মধ্যে আনোয়ারা উপজেলার ৪ ইউনিয়ন এবং চন্দনাইশ উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ৫ প্রার্থী।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাইয়েদ মো. আনোয়ার খালেদ জানান, উপজেলার বৈরাগ, বারখাইন ও চাতরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী ছাড়া কেউ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়নি।
এছাড়া বটতলী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও ঋণ খেলাপীর দায়ে তার মনোনয়ন বাতিল হয়। পরবর্তীতে আপিল করেও তার মনোনয়ন ফিরে পাওয়া যায়নি। তাই এই চার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।
নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন-উপজেলার বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী, বৈরাগ ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নোয়াব আলী, বারখাইন ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাসনাইন জলিল চৌধুরী শাকিল ও চাতরী ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল। বাকি ৬ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ বিষয়ে ৪নং বটতলী থেকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মেজবাহউদ্দীন চৌধুরী সোহেল বলেন, ‘ঋণখেলাপির কারণে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম বাতিল হলেও আপিলে বৈধতা পেয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আমার প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণার পর হাইকোর্টে রিট করেছি আমি। ২২ ডিসেম্বর এই নিয়ে শুনানি হয়। ২৭ ডিসেম্বর খাইরুজ্জামান ও খাইরুল আলম গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চ এ বিষয়ে রায় দেওয়ার দিন ধার্য্য করেছেন।’
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বারখাইন ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাসনাইন জলিল চৌধুরী শাকিল বলেন, ‘প্রার্থী ছিল না। দলীয় সিন্ধান্তের কারণে দলের কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়নি।’ চাতরী ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেলও বলেন একই কথা। তবে এই ইউনিয়নে মনোনয়ন ফরম নিয়েও জমা দেননি শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। তিনি বর্তমানে এই ইউপির চেয়ারম্যান। আর আফতাব উদ্দিন চৌধুরী তার ছেলে।
এদিকে চন্দনাইশ উপজেলার জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যন হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আমিনুল ইসলাম চৌধুরী রোকন। এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এলডিপির প্রার্থী জসিম উদ্দিন চৌধুরী মনোনয়ন ফরম জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জমার দিন আমার মনোনয়ন ফরম কেড়ে নিয়েছে দূর্র্র্বৃত্তরা। পরে অন্যজনকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম আরেকটা জমা দিলেও সেটি বাতিল করে দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘মনোনয়ন কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই। পরে অফিস সময় না থাকায় এবং প্রস্তাবকারী-সমর্থনকারী ছিল না তাই মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ১৯ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
আইকে/এএন