নওগাঁয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ
নওগাঁয় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত আরো প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
কৃষিতে অপার সম্ভাবনা এবং বিশেষ করে ধান উৎপাদেন উদ্বৃত্ত জেলা নওগাঁর মাঠে মাঠে এখন কেবলই সবুজের সমারোহ। অবারিত দৃষ্টিজুড়ে শুধুই বোরো আবাদের ক্ষেত।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী চলতি বোরো মৌওসুমে এ জেলায় ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত জমিতে বোর আবাদ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শামসুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন এ বছর বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি।
সেখানে কৃষকরা তাদের ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। আবাদকৃত জমির মধ্য হাইব্রিড জাতের রয়েছে ১৪ হাজার ২০০ হেক্টর এবং উন্নত ফলনশীল উফশী জাতের রয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৯০ হেক্টর। ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার ১৯০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
সেই হিসেবে চাল উৎপাদনের পরিমানও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগের ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রা প্রতি হেক্টর ৪ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন হিসেবে এ বছর বোর মৌওসুমে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ লাখ ১১ হাজার ৯৪৬ মেট্রিক টন। সেখান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৭১ দশমিক ৩০ মেট্রিক টন চাল।
জেলায় চলতি মৌসুমে হাইব্রিড জাতের মধ্য হিরা-২, হিরা-৬, এসএল-৮ এইচ, ব্র্যাক হাইব্রিড, তেজ, সিনজেটা ১২০৩, চমক, এমএস-১ সহ প্রায় ২৬ জাতের ধান আবাদ হয়েছে।
অন্যদিক উফশী জাতের মধ্য অন্যতম ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-২৯, ব্রিধান-৮১, ব্রিধান-৮৯, জিরাশাইল, খোটা-১০, কাটারীভোগ, শম্পা কাটারীসহ প্রায় ২৭ জাতের ধান রোপিত হয়েছে।
নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলায় উপজেলা ভিত্তিক বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ১৮ হাজার ৮০০ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ১৮ হাজার ৬০০ হেক্টর, বদলগাছী উপজেলায় ১১ হাজার ৭৫০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ২৮ হাজার ৪২০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ১৯ হাজার ৬০০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১৮ হাজার ৩২০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৮ হাজার ২০০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ১৯ হাজার ৮০০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ২২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে।
এমএসপি