বালুবাহী ট্রাকের দখলে টাঙ্গাইল-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়ক
অবৈধ বালুবাহী ট্রাকের দখলে টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা-ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়ক। ব্যস্তময় আঞ্চলিক সড়কটির এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত অবাধে যত্রতত্রভাবে ছোট-বড় ট্রাক রেখে জনগুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়কের প্রায় অর্ধেক অংশজুড়ে চলছে দোকান মালিকদের বাণিজ্যক কাজ। ফলে যানবাহন চলাচলে প্রতিনিয়ত জটলা ও দুর্ঘটনার কবলে পড়েন যাত্রী-পথচারীরা।
এ ছাড়াও উপজেলা পরিষদের সামনে এলেঙ্গা-ভূঞাপুর রোডে রাস্তার উপর হাইড্রোলিক ট্রাক, পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ দাঁড় করিয়ে মেরামতের কাজ করছেন বেশ কয়েকটি যানবাহন মেরামতকারী দোকান।
তা ছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর সড়কের বাসস্ট্যান্ড চত্বরের পাশেও এমন চিত্র দেখা যায়। এর কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। শুধু তাই নয়, দিনের পর দিন রাস্তার পাশে পার্কিং করে রাখা হয় ট্রাকগুলো।
স্থানীয় ও পথচারীরা জানান, ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। উপজেলা পরিষদের সামনেই প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বালুবাহী বাস-ট্রাক দাঁড় করিয়ে রেখে চলে মেরামতের কাজ। নিয়ম-নীতির কোনও তোয়াক্কা না করে আঞ্চলিক সড়কটি ব্যবহার করছেন দোকান মালিকরা। যার ফলে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোঁহাতে হচ্ছে। এদিকে, মেরামতের সময় ট্রাকগুলোর কালো ধোয়ায় জনস্বাস্থ্যও ঝুঁকিতে।
এলেঙ্গাগামী যাত্রী আব্দুর রহমান জানান, ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে আসতে অনেক সময় ধরে জ্যামে আটকে ছিলাম। এ কারণে ভূঞাপুর বাজার থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত জ্যাম লেগে থাকে। ১০ মিনিটের রাস্তা আসতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টা। আবার পরিষদের সামনে অবৈধ ট্রাকের পার্কিং।
অন্যদিকে এসব বালুবাহী ট্রাকগুলো সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, রাস্তার পাশে অবৈধভাবে রাখা ট্রাকগুলো বিষয়ে এর আগেও অভিযান চালানো হয়েছিল। ফের অভিযান চালানো হবে।
এসআইএইচ