রাণীশংকৈলে বট-পাকুড়ের বিয়ে!
প্রাচীন যুগে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গাছের বিয়ে দিতেন। সময়ের বিবর্তনে এমন ঘটনা আর চোখে পড়ে না। তবে এবার গাছের সঙ্গে গাছের বিয়ের একটি ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ফুটানি বাজারের মহলবাড়ি গ্রামে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের ভেটেলি রাণী গত ৮ বছর আগে ছেলে হিসেবে পাকুড় ও মেয়ে হিসেবে বটগাছ একসাথে রোপণ করেন।
পাকুড় (রব) গাছের মা ভেটেরি রাণী এবং একই গ্রামের পাথারু রায়কে বটগাছটির (মেয়ে) বাবা সম্বন্ধ করে ফাল্গুন মাসের ১৯ তারিখে বিয়ে দেন। আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত করে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে এ বিয়ে সম্পন্ন করেন এলাকাবাসী।
বরের (পাকুড়) মা ভেটেলি রাণী জানান, আমার পরিবার নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিলাম। সংসারে সমস্যা লেগেই থাকত। সমস্যা সমাধানের জন্য গাছের বিয়ে দেওয়ার চিন্তা করি। আজ থেকে আট বছর আগে দুটি গাছ একসঙ্গে রোপণ করি। এ বিয়েতে আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত করি। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী গাছ দুটির বিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে কন্যার (বট) বাবা পাথারু রায় বলেন, প্রতিবেশী ভেটেলি রানী আমাকে বট-কন্যার বাবা হওয়ার প্রস্তাব দেন। পরে আমি কয়েকজনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি। তারা বলেন, মেয়ের বাবা হলে পরজন্মের জন্য ভালো হয়। সব মানুষেই পরবর্তী জীবনে ভালো কিছু করার আশা করে। সে আশায় আমি প্রস্তাবে রাজি হই।
পুরোহিত সুকুমার রায় বলেন, হিন্দু ধর্মে গাছের বিয়ে দেওয়া নিয়ে কিছু বলা নেই। একসঙ্গে দুটি গাছকে প্রতিস্থাপন করলে পরজন্মে মঙ্গল হয়। এ জন্য ছেলে গাছ ও মেয়ে গাছকে একসঙ্গে প্রতিস্থাপন করা হয়। এটিকে বিয়ে বলার সুযোগ নেই।
এমএসপি