বরিশালে ভয়াবহ নদী ভাঙন রোধে সংবাদ সম্মেলন
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মনুষ্যসৃষ্ট ভয়াবহ নদী ভাঙন কবলিত হিজলা সদর উপজেলা রক্ষা ও ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিস্থলের স্বীকৃতি, মর্যাদা দান ও রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বরিশাল রিপোর্টাস ইউনিটি সম্মেলন কক্ষে হিজলা উপজেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম দুলাল সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বরিশালের হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, কাজিরহাট, মুলাদী এলাকায় প্রায় ১৪টি নদী বিধৌত-বেষ্টিত নদী ভাঙনের করুণ শিকার।
মাহাবুবুল আলম দুলাল লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, 'ইতোমধ্যে হিজলা ও কাজিরহাট থানার বিভিন্ন এলাকা করাল, মেঘনা, তার শাখা ও উপ-শাখা নদীভাঙন কবলিত হয়ে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষ চরম দুর্ভোগে পরেছে। হিজলা সদর উপজেলা থেকে নদী প্রায় ১০০ গজ দূরে। যেকোনো মুহূর্তে কাউরিয়া মুলাদী খাল ও লতা নদীতে ভাঙনের মূল স্রোত প্রবেশ করে হিজলা, কাজিরহাট এলাকা বিলীন হতে পারে। তাই নদী ভাঙনের হুমকিতে হিজলা উপজেলা সদর দপ্তর, অর্থ, বাণিজ্য, শিল্প ও সামাজিক স্থাপনা রক্ষায় স্থানীয় জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয় সরকার থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাছাড়া যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও মন্ত্রী পর্যায়ের কোনো ব্যক্তিত্ব এ অঞ্চল পরিদর্শন করেননি।'
তিনি বলেন, 'ভাষা সৈনিক নায়ের আব্দুল কুদ্দুস, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেজ কমান্ডার আব্দুর রশিদ সিকদার, মরহুম আবুল বাশার মুক্তা, ৯ম সেক্টরের ৩নং সাব সেক্টরস্থ সর্বশেষ যুদ্ধঘাটি স্থল, শহীদ সংগঠক আব্দুল মান্নান মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ৭৫ এর ১৫ আগস্ট উত্তরকালে একজন প্রতিবাদী সংগঠক মাহাবুবুল আলম দুলাল, মরহুম আ. রাজ্জাক খান, ধাত্রী সংগঠক মনোয়ারা বেগমের ছাড়াও ঐতিহাসিক অনেক স্মৃতিস্থল হওয়ার পরও যথাযথ সম্মান, স্বীকৃতিদান ও রক্ষার্থে আজ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে সরকারের প্রতি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।'
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে হিজলা উপজেলা নাগরিক কমিটির অন্যান্য সদস্য ও সাধারণ নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএসপি