জাল সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগে অধ্যক্ষকে আইনি নোটিশ
নেত্রকোনায় দুগিয়া আব্বাছিয়া এমদাদুল উলুম ফাজিল (স্নাতক) মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে আবুল ফাতাহ্ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে তাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি অমিত খান শুভ্র।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় অমৃত খান শুভ্রের পক্ষে আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন অ্যাডভোকেট মো. এখলাছুর রহমান খান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদ্রাসাটি জেলার সদর উপজেলায় দুগিয়া গ্রামে অবস্থিত। মো. মহিউদ্দিন খান বিগত ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জুলাই থেকে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে যোগদান করে সরকারি ভাতাদি ভোগ করছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ হিসেবে মাদ্রাসায় যোগদানের সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত কপি নিয়োগ কমিটি বরাবরে দাখিল করেন মো. মহিউদ্দিন খান। দাখিলকৃত আলিম পরীক্ষার ১৯৯২ সালে সাধারণ শাখার মূল সনদের রোল নম্বর-১২৯১, রেজি.-৫৫০০ শিক্ষাবর্ষ ১৯৮৯-১৯৯০। এই সনদে মধুয়াকোনা আজিমুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা হতে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে। একই সালে আলিম প্রাইভেট মুজাব্বির চারশ নম্বরে আধুনিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং তাতে যাহার রোল নম্বর-১২৯১, রেজি নম্বর-১৪৩, শিক্ষাবর্ষ ১৯৯২ থাকায় তা সন্দেহজনক।
এতে আরও বলা হয়, মহিউদ্দিন খান কাগজপত্র জালিয়াতির প্রতারণার আশ্রয়ে মাদ্রাসায় যোগদান এবং অসদুপায় অবলম্বনে বেআইনিভাবে মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনা ও সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
নোটিশ প্রেরণের সাত দিনের মধ্যে জালিয়াতি কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। অন্যথায় দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
নিয়োগের সময় পরিচালনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি অমিত খান শুভ্র জানান, জাল সনদের বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার লোকজন ও তার (অধ্যক্ষ) সঙ্গে যারা শিক্ষকতা করেন তারা আমাকে অবগত করেন। সনদপত্র পর্যালোচনা করে দেখলাম তিনি (অধ্যক্ষ) একই বছরে দুটি পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি এর আগে আরেক মাদ্রাসায় প্রভাষক হিসেবে চাকরি করেছেন এবং সেখানে আলিমের দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করা সনদ দাখিল করেননি। আর দ্বিতীয় বিভাগের সনদ ব্যতিত মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে চাকরি হতো না।
তিনি আরো বলেন, আমার আইনজীবী স্ত্রী শিউলিকে সনদপত্র দেখালে সে বলে এক শ্রেণিতে এক বছরে দুই পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম নাই। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে দেখিয়েছি তারাও বলল ‘ঘাপলা’ রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ যাচাই বিষয়ে প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার আশা করছেন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল ফাতাহ্ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন খান বলেন, আইনি নোটিশ পেয়েছি। এর জবাব আইনি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে দেওয়া হবে।
এসআইএইচ