ভূরুঙ্গামারীতে চৈত্র মাসে আষাঢ়ে বৃষ্টি, গম নষ্টের আশঙ্কা
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আবহাওয়ার বৈপরীত্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রকৃতি এবার বিচিত্র ধরনের আচরণ করছে। কখনও মেঘ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামছে। আবার রৌদ্র বাড়লে ভ্যাপসা গরমে দরদর করে ঘাম ঝরে পড়ছে। বৃষ্টিপাতের পরই বয়ে যাচ্ছে শীতল অনুভূতি। মনে হচ্ছে প্রকৃতিতে বয়ে যাচ্ছে শীতের সকাল। গতকাল বুধবার (৩০ মার্চ) থেকে ভূরুঙ্গামারীতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারও (৩১ মার্চ) সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কখনো ঝেঁপে, কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি। আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি। বৃষ্টির ধরণ দেখে বোঝার উপায় নাই এখন আষাঢ় না বসন্ত চলছে। অথচ মাসটা চৈত্র।
এদিকে বৃষ্টির সঙ্গে হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের পোষাক পড়ে বাইরে বের হতে দেখা গেছে অনককে। অপরদিকে বৃষ্টির কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে স্কুলগামী শিশুদের নিয়ে যাওয়া অভিভাবকদের। আর এ বৃষ্টিপাত দীর্ঘস্থায়ী হলে বাড়িতে কেটে রাখা গম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক।
উপজেলার পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তিন বিঘা জমির পাকা গম কেটে বাড়ির উঠানে পালা দিয়ে রেখেছেন। দুই দিন থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি না থামলে গম নষ্টের আশঙ্কা করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটি অস্থায়ী আবহাওয়া। রংপুর বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, প্রায় ৯০ শতাংশ গম কেটে ঘরে তুলেছেন কৃষক। এই
বৃষ্টিপাতে কৃষকের কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং পাট বপনের জন্য তৈরি জমি ও সবজি ক্ষেতের জন্য উপকারি এবং বোরো আবাদে সেচ কম লাগবে চাষিদের।
এসআইএইচ