অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট নয় পরিবার
সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যাকাণ্ডের দেওয়া রায়ে সন্তুষ্ট নয় পরিবার। রায় ঘোষণার পর বুধবার (৩০ মার্চ) ঢাকাপ্রকাশ-কে প্রতিক্রিয়া দেন অনন্ত বিজয়ের বোনের জামাই অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর।
এ সময় তিনি বলেন, এই মামলায় রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমাদের সন্তুষ্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদতে আমরা তা হতে পারছি না। কারণ, দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসারির মধ্যে তিনজন শুরু থেকেই পলাতক। এ ছাড়া অপর আসামি শফিউর রহমান ফারাবিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত দিনেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে সক্ষমতা দেখাতে পারেনি। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এই ব্যর্থতার দায় কার?
অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর বলেন, মোট কথা, মোটা দাগে ঘোষিত রায়ে সন্তুষ্ট হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। যাদের দণ্ডিত করা হয়েছে তাদের সে দণ্ড কার্যকর হলে কিছুটা স্বস্তি হয়তো আসবে। বাস্তবে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে বা যাকে হারিয়েছি তাকে তো আর ফিরে পাবো না। যাই হোক, আমাদের দাবি, যাতে এই রায় দ্রুত কার্যকর করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
এর আগে বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় সিলেটের বিজ্ঞানলেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ (৩২) হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মোট ছয়জন আসামির মধ্যে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে বেকসুর খালাস দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
অপর আসামি মান্নান ইয়াহিয়া কারান্তরীণ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাকি পাঁচ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা সফিউর রহমান ফারাবিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে তিনজন পলাতক এবং একজন কারাগারে আছেন।
তারা হলেন- আবুল খায়ের রশিদ আহমদ (কারাগারে), আবুল হোসেন (পলাতক), ফয়সল আহমদ (পলাতক) এবং হারুন-অর রশিদ (পলাতক)।
বাদিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মামলা পরিচালনা করেন-সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সিলেটের প্রাক্তন পাবলিক প্রসিকিউটর এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ মনির উদ্দিন।
সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল সিলেটের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব আজ (৩০ মার্চ) রায় ঘোষণার জন্য দিনক্ষণ ধার্য করেন।
এমএসপি