আড়াই বছর পর চালু হচ্ছে সিলেট-ছাতক রুটে ট্রেন চলাচল
প্রায় আড়াই বছর ধরে সিলেট-ছাতক রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ। ফলে এ রুটের হাজার হাজার যাত্রী ট্রেনের সেবা থেকে হচ্ছেন বঞ্চিত। বাধ্য হয়েই সড়ক পথে চলছেন যাত্রীরা। সড়ক পথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মাশুলও গুণছেন সাধারণ মানুষ। তবে সুখবর জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক।
তিনি জানান, রেলমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যেই ফের সচল হচ্ছে সিলেট-ছাতক রেলপথ।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রথম দফায় রেলপথে বিধিনিষেধ আরোপ হয় ২০২০ সালে। ওই বছরের ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশে বন্ধ করা হয় ট্রেন চলাচল। দুই মাসের বেশি সময় একটানা বন্ধ থাকার পর ৩১ মে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরপর কয়েক দফায় বন্ধ থাকার পর গত ১১ আগস্ট থেকে দেশে সচল হয় ট্রেন চলাচল। কিন্তু সিলেট-ছাতক রেলপথে চলাচলকারী মেইল ট্রেনটি প্রথম দফায় বন্থ হওয়ার পর আজো তা চালু হয়নি।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রেলওয়ের আখাউড়া সেকশনের অধীন সিলেট-ছাতক রেলপথ প্রায় ৩৫ কিলোমিটারের। প্রতিদিন সিলেট থেকে সকালে যে ট্রেন ছাতক যেত, সেটি আবার বিকালে সিলেটে ফিরে আসত। এতে পণ্য পরিবহনেরও বগি ছিল। এ ট্রেনটির চলাচল টানা আড়াই বছর বন্ধ থাকায় সিলেট-ছাতক রেলপথের অবস্থা এখন নাজুক। অনেক স্থানের নাট-বল্টু নেই, স্লিপার ক্ষয়ে যাচ্ছে। ট্রেনটি বন্ধ থাকায় কম খরচে পণ্য পরিবহন করতে না পারায় বাংলাবাজার এলাকায় গড়ে উঠা কাঁচামালের হাট বন্ধ হয়ে গেছে। এ অঞ্চলের সব কাঁচামাল সকালের ট্রেনে সিলেট নিয়ে যাওয়া হতো।
সিলেট রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. নুরুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে সিলেট-ছাতক লাইন বন্ধ হয়ে যায়। তবে কবে নাগাদ চালু হবে, এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, শিগগিরই এ রুটে ট্রেন চলাচল আবার চালু হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ছাতক ব্রিটিশ আমল থেকে একটি শিল্প শহর। ১৯৫৪ সালে স্থাপিত হয় সিলেট-ছাতক রেল লাইন। প্রাচীন এ শহরের রেল স্টেশনটি ছিল অন্যতম আকর্ষণ। এখানে রয়েছে রেলের স্লিপার কারখানা ও ছাতক-ভোলাগঞ্জ রজ্জুপথ।
এসএন