পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীত, দুর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে শীতের দাপট। প্রতিদিন কমছে তাপমাত্রা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেতুঁলিয়ায়। জেলায় তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে। তবে গত ১০ ডিসেম্বর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এর আগে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার বিকেল তিনটায় জেলায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। সকাল নয়টা পর্যন্ত শীত নিবারণ করতে আগুন পোহাছিল নিম্ন আয়ের মানুষ।
কুয়াশার সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। তবে সূর্য উঠার পর ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে যেতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে কুয়াশা মিশ্রিত রোদ উঠলেও উত্তাপ ছড়াতে পারছে না। তবে বিকাল গড়াতেই তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ শুরু হয়। শীতল বাতাস বইতে শুরু করে।
গরম কাপড় ছাড়া সন্ধ্যার পরে ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। রাতভর থাকে শীতের তীব্রতা। রাতে কনকনে বাতাসের সঙ্গে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। আবার ভোররাত থেকে শুরু হয় কুয়াশা। নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগও দিন দিন বাড়ছে।
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে পূর্বাভাস অনুযায়ী তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহের আভাস দিয়েছে।
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ জানান, পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে তাপমাত্রার পারদ কমে আসছে। সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ডিসেম্বরের শেষে তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে শৈত্য প্রবাহ নামতে পারে।
/এএন