নীলফামারী হানাদার মুক্ত দিবস আজ
আজ নীলফামারী হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নীলফামারী সদর উপজেলাকে পাক-হানাদার মুক্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। নীলফামারীকে পাকিস্তানি বাহিনী মুক্ত করে ভোরে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
১৯৭১ সালে নীলফামারীতে ছাত্র-জনতা ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তির সংগ্রামে। নীলফামারী বড়মাঠে শুরু হয় অস্ত্র হাতে নেয়ার প্রশিক্ষণ। এরপর ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছয় নম্বর সেক্টরের অধীনে অস্ত্র হাতে যোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েন পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে।
নয় মাসের গেরিলা আক্রমণ ও সম্মুখযুদ্ধে জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা মুক্ত করে তারা এগিয়ে আসেন নীলফামারী শহরের দিকে। ১২ ডিসেম্বর রাতে শহরের চারদিক থেকে প্রবল আক্রমণে হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়ে নীলফামারী শহর ছেড়ে শেষে আশ্রয় নেয় সৈয়দপুর সেনানিবাসে। ১৩ ডিসেম্বর তৎকালীন নীলফামারী মহকুমায় ৭১ জন মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাক-হানাদার মুক্ত হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন নীলফামারী শহরে আনন্দ মিছিল করে এবং চৌরঙ্গী মোড়ে বাংলাদেশের স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন।
নীলফামারী জেলায় রয়েছে ২৫টি বধ্যভূমি। প্রতিবছর ১৩ ডিসেম্বর নীলফামারী পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত দিবস পালন করা হয়। দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখতে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে রেলী ও আলোচনাসভার কর্মসুচি গ্রহন করা হয়েছে।
কেএফ/