সাফারি পার্কে থমসন গজেল পরিবারে নতুন অতিথি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে এবার আফ্রিকান প্রাণী থমসন গজেল পরিবারে নতুন অতিথি এসেছে।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর)) মায়ের সঙ্গে নতুন অতিথিকে ঘুরতে দেখা যায়। এর আগেও এ পার্কে থমসন গজেল শাবকের জন্ম দিয়েছিল। তবে হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের কারণে তা টেকেনি। নতুন অতিথি নিয়ে সাফারি পার্কে থমসন গজেল পরিবারের সংখ্যা তিনে দাঁড়াল। নতুন এ শাবকটির লিঙ্গ এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি পার্ক কর্তৃপক্ষ।
সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, থমসন গজেল মূলত আফ্রিকান অ্যান্টিলোপ প্রজাতির প্রাণী। এগুলো মূলত হরিণের মতো। অভিযাত্রী জোসেফ থমসনের নামে এ প্রাণীর নামকরণ করা হয়েছে। অনেক স্থানে এ প্রাণীকে ‘টমি’ নামেও ডাকা হয়। পূর্ব আফ্রিকার কেনিয়া ও তানজানিয়ার সেরিঙ্গেটি অঞ্চলে এ প্রাণীর মূল আবাসস্থল। এরা তৃণভূমিতে বিচরণ করে থাকে। এদের প্রধান খাবার ঘাস।
এ প্রাণীর দৈর্ঘ্য সাধারণত ৮৮ সেমি পর্যন্ত হয়। এরা ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতিতে দৌড়াতে পারে। একে চিতার পরে চতুর্থ দ্রুততম স্থলপ্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়। একটি পুরুষ গজেলের ওজন হয় ২০ থেকে ৩০ কেজি এবং স্ত্রীদের ওজন ১৫ থেকে ২৫ কেজি পর্যন্ত হয়। চোখের চারপাশে সাদা রিং, চোখের কোণ থেকে নাকের দিকে কালো ডোরা, নাকের ওপর একটি কালো দাগ থাকে। পুরুষের রিংযুক্ত শিং রয়েছে। স্ত্রীদের শিং থাকে না। দলের পুরুষ সদস্যরা অনেকটা যুদ্ধ করে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে, স্ত্রী গজেলের গর্ভকাল ১৬৬ দিন। প্রতিবার একটি করে শাবকের জন্ম দেয় থমসন গজেল। সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকায় প্রাণীটিকে বিপন্ন প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, সাফারি পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে এর আগেও থমসন গজেল শাবকের জন্ম দিয়েছিল। এরা আফ্রিকান সাফারিতে উন্মুক্ত অবস্থায় বিচরণ করে। তবে উন্মুক্ত অবস্থায় বিচরণের কারণে হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে সেগুলো আর টেকেনি। এক সপ্তাহ আগে গজেল পরিবারে শাবকের জন্ম হলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মা সন্তানকে লুকিয়ে রাখায় দেখা যায়নি। পরে শাবক নিয়ে বের হয়ে আসায় তাদের দেখা যায়। এখন পর্যন্ত প্রাণীটি সুস্থ রয়েছে। মায়ের সঙ্গে ঘুরে তাকে দুধপান করতে দেখা গেছে। এবার প্রাণীটিকে টিকিয়ে রাখতে আমরাও নজরদারির চেষ্টা করছি।
এসএন