রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে শিশুর মৃত্যু, তিন শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই
উখিয়ার ইরানী পাহাড় সংলগ্ন রোহিঙ্গা শিবিরের আগুন ২ ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণের পর সেখানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার কিছু সময় পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসৌদ্দজা নয়ন।
তিনি জানান, ২ ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন ফায়ার সার্ভিস ও এপিবিএন সদস্যরা। পরে সেখানে অগ্নিদগ্ধ এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুড়ে গেছে ৩ শতাধিক বসতঘর। তবে তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুর ৪টার দিকে কুতুপালংয়ের ৫ ও ৬ নম্বর ক্যাম্পে আগুন লাগে। সেটি নিয়ন্ত্রণে যায় ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট।
রোহিঙ্গা শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর পুলিশ সুপার মো. নইমুল হক বলেন, ‘২ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস ও এপিবিএন সদস্যদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্যাম্পটি দুর্গম হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তারপরও বিভিন্ন পাইপ বা মোটরের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা নামের একটি ক্যাম্পে লাগা আগুনে পুড়েছে প্রায় ৬০০ ঘর। তবে গত বছরের ২২ মার্চ বালুখালীতে লাগা আগুনে পুড়ে মারা যান ১৫ রোহিঙ্গা। তখন ১০ হাজারের মতো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এমএসপি