টাঙ্গাইলে দুই উপজেলা পেল নারী ইউএনও
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও সখীপুর পেল নতুন দুই নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। রবিবার (৬ মার্চ) যোগদান ও দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তারা হলেন, ঘাটাইলে মুনিয়া চৌধুরী ও সখীপুরে ফারজানা আলম।
জানা গেছে, ঘাটাইলে বিদায়ী ইউএনও মো. সোহাগ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হন মুনিয়া চৌধুরী। তিনি ৩৪তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার।
মুনিয়া চৌধুরীর স্বামী আশরাফ সাদেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক।
তার বাবা সাবেক সচিব চৌধুরী বাবুল হাসান এবং মা শাহীনা চৌধুরী একজন গৃহিণী। মুনিয়া চৌধুরীরা তিন বোন এক ভাই।
৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন মুনিয়া চৌধুরী। ২৭৯ জনের মধ্যে তিনি প্রথম হন।
মুনিয়া চৌধুরী ২০০৮ সালে এইচএসসির পর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগ দিয়ে ব্যক্তিগত কারণে ১০ দিনের মাথায় চলে আসেন।
ওই বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
গত রোববার সন্ধ্যায় তিনি বিদায়ী ইউএনও মো. সোহাগ হোসেনের কাছে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেন।
এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম লেবু ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সখীপুরে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম ৩৩তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা।
তিনি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর উপব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ফারজানা আলমের বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জে। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী। মেয়ে সোহা শারার আহমেদ ও ছেলে আহমেদ সামিহ নির্ণয়।
ফারজানা আলম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন থেকে পাবলিক পলিসি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেন।
গত রবিবার সন্ধ্যায় বিদায়ী ইউএনও চিত্রা শিকারী নবাগত ইউএনওকে ফুল দিয়ে বরণ করে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সুলতানাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দায়িত্ব গ্রহণকালে ফারজানা আলম উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এমএসপি