বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চাঞ্চল্যকর শফিউদ্দিন হত্যা মামলা

১৮ বছর পর কুমিল্লা কারাগারে ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে

দীর্ঘ ১৮ বছর পর সোমবার (৭ মার্চ) মধ্যরাতে কার্যকর হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর শফিউদ্দিন হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শিপন হাওলাদার এবং নাইমুল ইসলাম ইমনের।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি সোমবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেন সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী-১ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী ছিলেন শফিউদ্দিন।

এ ছাড়া তিনি স্থানীয় রেলওয়ে আমবাগান এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়কও ছিলেন। জড়িত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের রাজনীতির সাথেও।

এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মদ, জুয়া ও রেলওয়ের অবৈধ সম্পদ দখলের প্রতিবাদে শফিউদ্দিন সোচ্চার থাকার কারণে রেলওয়ের জায়গা থেকে চার দফায় অবৈধ বস্তি ও কলোনি উচ্ছেদ করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। এসব ঘটনার জেরে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০৩ সালের ১৪ জুন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার সরকারি বাসায় ঢুকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে বোমা ফাটিয়ে এলাকা ত্যাগ করে ঘাতক দল।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে খুলশী থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে এ হত্যা মামলায় দুই ঘাতক শিপন ও ঈমনকে ফাঁসি ও অপর সাত আসামিকে যাবজ্জীবন এবং চারজনকে খালাস দেন।

সাজার বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করেছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত তাদের রিভিউ খারিজ করে দেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করা হলেও তা খারিজ হয়ে যায়।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, উচ্চ আদালতে ফাঁসির সাজা বহাল রাখা এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে কারাবিধি অনুসারে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হয়।

এ ছাড়া কারাবিধি অনুসারে অন্যান্য আরও কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই ফাঁসি কার্যকর করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ফাঁসি কার্যকরের আগে উভয়ের পরিবারের লোকজন আসামিদের সাথে দেখা করেছেন।

রাতে উভয়ের ফাঁসি কার্যকরের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এমএসপি

Header Ad

নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

অর্থ-মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাদিরা সুলতানার ধমক খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পরেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত একটি সভার কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর আনতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় যুগ্মসচিব ড. নাদিরা সুলতানা তাকে ধমক দেন এবং তিনি ধমক খেয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। এ ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের সামনে শতাধিক কর্মচারী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে হট্টগোল করেছেন।

তার আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ অর্থ মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় তলায় অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) ওবায়দুর রহমানের রুমের সামনে জড়ো হন কর্মচারীরা। তারা অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. নাদিরা সুলতানার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন কর্মচারী ড. নাদিরা সুলতানার স্বাক্ষর আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যান। তখন নাদিরা জিয়াউরের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে এক পর্যায়ে জিয়া অজ্ঞান হয়ে যান।

আসলাম নামে আরেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, আমি ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম এবং যুগ্মসচিব ম্যাডাম আমার সামনেই দুর্ব্যবহার করেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে জিয়াউর রহমান তৎক্ষণাত অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন এবং তিনি ঘটনাস্থলেই দুইবার বমি করেন।

খবর পেয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারি সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবিরের নেতৃত্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের কর্মচারীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং চিকিৎসার জন্য অচেতন অবস্থায় উক্ত কর্মকর্তার অফিস কক্ষ থেকে উদ্ধার করে সচিবালয় ক্লিনিকে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী তাকে দ্রুত সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে এবং নয় দফা দাবি তুলে। বুধবার সকাল থেকে সচিবালয়ের ভেতরে এ কর্মসূচি পালন করছেন । যা এখনও চলমান।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সচিবালয়ে প্রবেশে সবগুলো পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া এ কর্মসূচি ঘিরে সচিবালয় এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

Header Ad

জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস

ফাইল ছবি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেন তাঁর আইনজীবীরা।

আওয়ামী লীগ এর আমলে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অন্য তিন আসামিকেও সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন বিচারিক আদালত। খালেদা জিয়াসহ প্রত্যেককে জরিমানাও করা হয়। এ ছাড়া ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলে ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেওয়ার আদেশ দেওয়াও হয়েছিলো। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়।

Header Ad

আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি চট্টগ্রামের আদালত চত্বরে ঘটে যাওয়া হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ।

তিনি বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই চলছে। দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। যাচাই-বাছাই শেষে এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

এ দিকে আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ দল নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড় ও আন্দরকিল্লাসহ কয়েকটি স্থানে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

এর আগে, গত সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় তার অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০
বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের
ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু