'খিলি পান বেইচা পেট চলে না, ঈদ করি কি দিয়া'
'খিলি পান বেইচা পেট চলে না, ঈদ করি কি দিয়া? স্বামী শহর গ্রাম ঘুইরা খিলি পান বেইচা যা রোজগার করে তাতে পোলাপান লইয়া না খাইয়াই বেশি থাহা অয়। এই হাতে আইয়া স্বামী ও আমার জন্য লুঙ্গি ও কাপড় পাইছি। এতে অনেক উপকার হইল। এহন পোলাপানের লাইজ্ঞা কিছু পাইলে ঈদটা হয়।'
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিজ বাসভবনের সামনে ১১ হাজার মানুষকে ঈদ উপহার বিতরণ শুরু করেন বরগুনা পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেন। এ ঈদ উপহারের মধ্যে ছিল রংবেরঙের শাড়ি ও লুঙ্গি। দুপুরের দিকে সেখানে ঈদ উপহার নিতে এসে শহরের আমতলার পাড় এলাকার খালেদা বেগম নামে এক নারী এ কথা বলেন।
এছাড়াও ঈদ উপহার পেয়ে উকিল পট্টি এলাকার রেশমা বলেন, শাহাদাত মেয়র প্রতি বছই মোগো শাড়ী লুঙ্গি দেয়। মেয়র থাহার আগেও দেছে, থাকতেও দেছে আর এহনো দেয়। আল্লাহ গরিব মানষের উপকারের লাইজ্ঞা হেরে বহু বছর বাঁচাইয়া রাখুক।
পিটিআই সড়কের রমিজ উদ্দিন বলেন, ঈদ উপহার হিসেবে আমি লুঙ্গি পেয়েছি। বর্তমানে কাপড়-চোপড়ের অনেক দাম। তাই রিকশা চালিয়ে একটা লুঙ্গি কেনার মত পয়সা হয় না। এই লুঙ্গি পাওয়ায় কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বরগুনা পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। আর এই আনন্দ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ১১ হাজার মানুষকে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে। যতদিন বেঁচে আছি এভাবেই মানুষের পাশে থাকতে চাই।
এএজেড