পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা সৈকত
ছাতা-বেঞ্চ শূন্য পড়ে আছে। নেই মানুষের কোলাহল। যেন এক বিরাণভূমি। প্রথম রমজান থেকেই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পর্যটকশূন্য। সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি এখন জনমানবহীন। এতে বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে ঈদের দিন থেকে পর্যটক বাড়ার আশা করছেন তারা। এদিকে পর্যটক না থাকলেও সৈকত এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পদচারণা থেমে নেই। তারা দায়িত্বে অটুট রয়েছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চারিদিক সুনসান নিরব। সৈকতের ছাতা-বেঞ্চে একটু দাঁড়াবার মতো কেউ নেই। ফুসকার দোকান থেকে শুরু করে সৈকতের সকল দোকানপাটও রয়েছে বন্ধ। এ ছাড়াও জিরো পয়েন্ট থেকে ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্স পর্যন্ত সকল খাবার হোটেল, শুটকির দোকান, চায়ের দোকান, কসমেটিক্সের দোকান বন্ধ। কারণ পর্যটক সমাগম নেই। তাই পর্যটকদের ঘিরে থাকা সকল ব্যবসা বন্ধ। অন্যদিকে বেশির ভাগ হোটেল-মোটলও ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এতে বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পর্যটকশূন্য থাকায় অনেকে নতুন করে সাজাচ্ছেন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন গাজী রেস্টুরেন্টের মালিক হুমায়ুন জানান, দীর্ঘ এই এক মাস আমাদের হোটেল বন্ধ থাকবে। কিন্তু আমাদের যে কর্মচারী রয়েছে তাদের বেতন বন্ধ হবে না। তাই আমরা অনেকটা লোকসানের মধ্যে পড়েছি।
একই এলাকার বৈশাখী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের ইমাম হোসেন জানান, কুয়াকাটা এখন জনমানবশূন্য। কোনো পর্যটকই নেই। তাই আমার হোটেলে কাজ করিয়েছি। এখন রংয়ের কাজ চলছে। মোট কথা হোটেলটি নতুন সাজে সাজাচ্ছি।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ফটোগ্রাফার জুলহাস মিয়া জানান, সুমদ্র সৈকতে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ জন পর্যটক আছে কি-না সন্দেহ আছে। তাই আমাদের ইনকাম নেই বললেই। বসে বসে খেতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, রমজানের শুরু থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটক আগমন কমে গেছে। তারপরও এই এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।