এসআইর বিরুদ্ধে ফেরিঘাটে চাঁদাবাজিতে সাহায্য করার অভিযোগ
বরগুনার ফেরিঘাটগুলোয় সিরিয়ালের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনাও। তারপরও যেন নিরব ভূমিকায় প্রশাসন। আবার সম্প্রতি আমতলী ফেরিঘাটে চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িত চাঁদাবাজদের সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শেখ মোহম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি এ অভিযোগ তুলেছেন।
সম্প্রতি সংঘর্ষের বিষয়টি জানার পর রানা দফাদার ও হৃদয় ভান্ডারী নামের দুই চাঁদাবাজকে আটক করে পুলিশ। আটকের কয়েকঘন্টা পর পুরো চিত্রই পাল্টে যায়। দুই চাঁদাবাজ থানায় আটক থাকা অবস্থাতেই আহত শেখ মোহম্মদ আলীকেও থানায় ডাকা হয় এবং উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর রেখে চাঁদাবাজদের ছেড়ে দিয়েছে আমতলী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বারেক।
সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে ঢাকাপ্রকাশের কাছে এমনই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শেখ মোহম্মদ আলী। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তিনি। তার অভিযোগ, স্থানীয় একটি শ্রমিক সংগঠনের নামে রানা দফাদার ও হৃদয় ভান্ডারীসহ ১০-১২ জন আমতলী ফেরিঘাটে ফেরি পাড় হতে আসা গাড়ি ও ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে অবৈধভাবে চাঁদা তোলে। এ কর্মকাণ্ডে চালক ও ঘাট এলাকার ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ ঘাট সংলগ্ন ব্যবসায়ী জিয়াউর, মোশাররফ, ইমরান ও আমি অবৈধ এই চাঁদা আদায় বন্ধের প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়ে আতর্কিত হামলা করে। এতে আমি, ইমরান ও পাশে থাকা তার নানীসহ বেশকয়েকজন আহত হই। পরে আহতরা যখন হাসপাতালে খবর পেয়ে তখন চাঁদাবাজ রানা ও হৃদয়কে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর থানায় ডেকে উল্টো আমাকেই ভয় দেখায় এসআই আব্দুল বারেক এবং সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে দুই চাঁদাবাজকে ছেড়ে দেন।
শেখ মোহম্মদ আলী আরও বলেন, পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেয়েই আমাকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে চাঁদাবাজরা। এসআই সাহায্য না করলে এমনটা হাতো না। আমার দাবি, চাঁদাবাজসহ এদের রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
আমতলী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বারেক বলেন, সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি। মিমাংশার স্বার্থে দুই জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ফেরিঘাট এলাকায় সকল চাঁদা আদায় বন্ধ। কোন চাঁদাবাজ আটক কিংবা সাদা কাগজে স্বাক্ষরের বিষয় আমার জানা নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএজেড