টাকায়ও মিলছে না শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র, গণপরিবহনে উঠলেই হয়রানি
পরিচয়পত্র না থাকায় গণপরিবহনে ভাড়া দিতে গিয়ে রীতিমতো হয়রানির শিকার হচ্ছেন বরগুনার বেতাগী সরকারি কলেজের স্মাতকের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী। অভিযোগ উঠেছে, বছরের শুরুতেই পরিচয়পত্র দেওয়ার নামে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানের রশিদের মাধ্যমে ২০ টাকা ও হাতে নগদ ১০০ টাকা করে নিয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কলেজ থেকে শিক্ষার্থীদের কোনো পরিচয়ত্র দেওয়া হয়নি। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় রীতিমতো হয়রানির শিকার হচ্ছেন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেতাগী সরকারি কলেজে স্নাতকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ২৫০ জন ও ২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই বর্ষের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ভূগোলের অধ্যাপক এমাদুল হক শাহীন এবং ও গণিতের অধ্যাপক ইমাদুল হক বছরের শুরুতেই প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্রের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তির সময় রশীদের মাধ্যমে ২০ টাকা করে ১২ হাজার ও হাতে নগদ ১০০ টাকা করে ৬০ হাজার টাকা আদায় করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষক জানান, এখন পর্যন্ত পরিচয়পত্র দেওয়ার বিষয়ে কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। হতে পারে অসৎ উদ্দেশ্য কিংবা গাফিলতির কারণে পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে না।
তবে এ বিষয়ে ভর্তি কমিটির এক বর্ষের আহ্বায়ক ও গণিতের অধ্যাপক ইমাদুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিচয়পত্র দিয়ে দেওয়া হবে।
ভর্তি কমিটির অপর বর্ষের আহ্বায়ক ও ভূগোলের অধ্যাপক এমাদুল হক শাহীন বলেন, ভর্তির শুরুতে শিক্ষার্থীদের তথ্যগত হের ফের ছিল এবং ক্লাসে অনুপস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে যারা আগামীতে ফরম পূরণ করতে আসবে তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
এ ব্যাপারে বেতাগী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল ওয়ালিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণে এটি দেওয়া যায়নি। এখনো অনেকে শিক্ষার্থী পরিচপত্রের নির্ধারিত ফরম পূরণ ও ছবি দেয়নি। এ নিয়ে কাজ চলছে। তবে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া হবে।
এসএন