শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

৫ বছরে দুর্নীতির পাহাড়, শেষ হয় না দুদকের তদন্ত!

২০১৭ সাল থেকে দুর্নীতির অভিযোগের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বরগুনার বামনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু। তার শাস্তি দাবি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পটুয়াখালীর নিজ কার্যালয়ে ২০২১ সালে এজাহার দায়ের করেছিল। কিন্তু গত এক বছরেও তদন্ত কার্যক্রমই শেষ করতে পারেননি তারা। আর এনিয়ে এখন স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। তবে দুদকের দাবি খুব শীঘ্রই তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে পারবেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালের শুরুর দিকে বামনা উপজেলা চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটুর বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবরও প্রকাশিত হয়। পরে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. জহিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক স্মারকের চিঠিতে তাকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ (উপজেলা-১ শাখা)।

অপরদিকে তার বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি করে ২০২১ সালের ১৬ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পটুয়াখালীর নিজ কার্যালয়ে এজাহার দায়ের করেন সহকারী পরিচালক নাজমুল হুসাইন। এর এক বছর অতিবাহিত হলেও এখনো তদন্ত কার্য শেষ করে চার্জশিট দাখিল কিংবা আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন কোনটাই জমা দিতে পারেনি দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পটুয়াখালী কার্যালয়ের ততকালীন সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন এজাহারে উল্লেখ করেন, বামনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু বিগত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে উপজেলার ৫০০ জন সাধারণ নাগরিকের নিকট হতে সরকারী নলকুপ প্রদানের কথা বলে নলকুপ প্রতি ১২ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ৫০০ জন ব্যক্তির কাছ থেকে অবৈধভাবে প্রতারণার মাধ্যমে ৬২ লাখ ৫০ হাজার গ্রহণ করেছেন।

বামনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ০৩.০৮.০০.০১.০০২১৩.৪৮৩ স্মারকে রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, বামনা উপজেলার ৫০০ টি পরিবারে ৫০০টি নলকূপ বরাদ্দের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু প্রতি পরিবারের নিকট থেকে ঘুষ হিসেবে ১২ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণপূর্বক একটি তালিকা প্রণয়ন করেছেন।

বামনা উপজেলা পরিষদের কাম সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর নাজমুল হুদার বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের গোপনীয় সহকারী হিসেবেও কাজ করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমুল হুদাকে দিয়ে নলকূপ দেয়ার কথা বলে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করে গ্রহণ করেছেন এবং অবৈধভাবে নাজমুল হুদাকে দিয়ে এ সংক্রান্ত একটি তালিকাও তৈরী করিয়েছেন।

বামনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুজ্জামান, রামনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আ. খালেক এবং ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের বক্তব্য অনুযায়ী, তাদের ইউনিয়নের অনেক বাসিন্দাদের নিকট থেকে নলকূপ দেয়ার কথা বলে সাইতুল ইসলাম লিটু ১২ হাজার ৫০০ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। কিন্তু কাউকে নলকূপ দেননি। এভাবে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের নিকট থেকে মোট ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ৪৬.০৪৬.০২৭.০০.০০.৪৪৪.২০১৪-৫৮৪ স্মারকের চিঠিতে বামনা উপজেলা চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটুর অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি করে তাতে বলা হয়, বামনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটুর বিরুদ্ধে বিগত মেয়াদে চাঁদা/উৎকোচ গ্রহণ, ঠিকাদার ও প্রকল্প কমিটির কাছ হতে কমিশন গ্রহণ, শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক-শিল্পীদের বেতন ভাতার টাকা, বাঁশ-বেত প্রকল্প, সেলাই মেশিন বিতরণ প্রকল্প, গরু-ছাগল বিতরণ প্রকল্পের টাকা, পানিকচু চাষাবাদের জন্য, কুকুর ও সাপে কামড়ানোর ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের একাধিক তদন্তে সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অপসারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বামনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটি শূণ্য ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বামনা উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম লিটু ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমি জীবনে দুইটাকাও ঘুষ খাই নাই। আরতো লাখ লাখ টাকার ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ। মূলত একটি জাতীয় দৈনিকের পেপার কাটিংয়ের সূত্র ধরে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় এমপি এগুলো আমার বিরুদ্ধে করিয়েছে। এর অন্যতম কারণ ছিল তখন তাদের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক দূরত্ব।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পটুয়াখালী উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বামনা উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম লিটুর ঘুষের অভিযোগের বিষয়ে গত মাসে নতুন একজন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

উল্লেখ্য, সাইতুল ইসলাম লিটু প্রথমবার ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ পঞ্চম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরগুনার বামনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ তিনি চতুর্থ ধাপে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ

ভবিষ্যতে যেন আওয়ামী লীগ আর কোনো মিছিল করতে না পারে সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার রাজধানীর বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের ‍মুখে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ পুনরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। গত কিছুদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ঝটিকা মিছিল করেছে পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। যা নিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ও জুলাই আন্দোলনে গণহত্যা চালানোর দায়ে বিচারের দাবি উঠেছে। শুক্রবার রাজধানীর উত্তরাসহ বেশ কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের মিছিলের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারকে কঠোর হওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

শুক্রবার আওয়ামী বিরোধী মিছিলের পর শনিবার রাজধানীর বিমানবন্দরে থানা পরিদর্শনে গিয়ে আ. লীগের নেতাকর্মীদের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করার লক্ষ্যে ধাপে ধাপে বিভিন্ন থানার কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বেলা ১১টা ১০মিনিট নাগাদ রাজধানীর বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে যান তিনি।

এদিকে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন চারটি থানা পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে। এগুলো হলো- বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, তুরাগ ও উত্তরা পূর্ব থানা।

Header Ad
Header Ad

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয়েছে। রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)।

শেখ হাসিনা ছাড়া আরও যাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, আদালত, প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) অথবা তদন্ত সংস্থার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করে থাকে।

পুলিশের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনাসহ যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে আর্থিক অপরাধের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য-উপাত্ত যুক্ত করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা ও বেনজীর আহমেদ ছাড়া অন্য ১০ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে এনসিবি থেকে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয় ১০ এপ্রিল। এর আগে তাঁদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরে নথিপত্রসহ চিঠি পাঠায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।

শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে রেড অ্যালার্ট জারির জন্য ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করতে গত বছরের নভেম্বরে পুলিশ সদর দপ্তরকে অনুরোধ করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।
অন্যদিকে বেনজীরের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার একটি আদালত বেনজীরের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।

তবে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদনের বাইরে ভারতসহ যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, সে চুক্তির আওতায় বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের ফেরানোর চেষ্টাও রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে। তবে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরানো সহজ হবে না বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় তাঁকে ফেরত আনতে বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে আবেদন করেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মোট তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও আসামি। এ ছাড়া ২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনের ঘটনায় একটি এবং বিগত সাড়ে ১৫ বছরে গুম-খুনের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা রয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরসহ একাধিক প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আগামীকাল রোববার এ মামলায় ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের চকবাজারের হিজলা খালে পড়ে যাওয়া ছয় মাস বয়সী শিশু সেহরিসকে নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে কাপাসগোলার নবাব হোটেলের পাশের নালায় ওই শিশুটি নিখোঁজ হয়।

স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম মহানগরের চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকায় মা ও ছয় মাস বয়সী শিশুসহ একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা নালায় পড়ে যায়। এ ঘটনায় মাকে উদ্ধার করা গেলেও শিশুটি পানির স্রোতে তলিয়ে যায়। এরপর শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর রিকশাচালক পালিয়ে যায়। দ্রুত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন।

শিশুটির মামা মারূফ জানান, আসাদগঞ্জ থেকে চেহরিসকে নিয়ে তার মা ও দাদি তার (মারূফ) বাসায় বেড়াতে আসছিল। বাড়ির কাছে এসে রাস্তায় পানি থাকায় রিকশা নেয় তারা। কিন্তু নালার পাশে থাকা বাঁশের বেষ্টনী খুলে ফেলার কারণে তারা রিকশা নিয়ে নালায় পড়ে যায়। পরে চেহরিসের মা সালমা ও দাদি আয়েশাকে উদ্ধার করা গেলেও চেহরিস হারিয়ে যায়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক