বরিশালে ফখরুল, ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল শোডাউন

শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আর এই সমাবেশে যোগ দিতে বরিশালে পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে বরিশালে পৌঁছান তিনি। এসময় দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা মোটরসাইকেল শোডাউন করে তাকে হোটেলে নিয়ে যান।
এর আগে বিকালে নগরীর হাসপাতাল রোড, সিঅ্যান্ডবি রোড, নতুল্লাবাদ, বগুরা রোড, চাঁদমারী, সদর রোডে মোটরসাইকেল শোডাউন করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
মিছিলটি নগরের অশ্বিনী কুমার হলসংলগ্ন নগর ও জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করে। একই সময়ে শ্রমিক লীগের ব্যানারে আরও একটি মিছিল হয় সদর রোডে। এ ছাড়া নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে সন্ধ্যার পর মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল শোডাউন বিএনপির সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানের চারপাশে কয়েকবার চক্কর দিয়েছে। আগামীকালের তাদের বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে এসব করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।
এদিকে সমাবেশস্থলের আশপাশের সড়কে একের পর এক মিছিল বের করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এতে দু'পক্ষের মহরায় আতঙ্কে আছেন নগরবাসী।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত বলেন, বরিশালে বিএনপির নাটকীয় সমাবেশেকে ঘিরে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে। তবে তারা যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত আছে।
মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইস আহেমদ মান্না বলেন, আমাদের নেত্রী দেশের যুবসমাজকে ঢাকায় মহাসমাবেশে ডেকেছেন। এর অংশ হিসেবে আমরা নগরে প্রচারণা চালাচ্ছি। পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপির সন্ত্রাসীরা আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে মহাসমাবেশের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র করছে। সমাবেশে লোকজন আনার জন্য সাধারণ মানুষকে চাপ ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। শান্তিপূর্ণ বরিশাল নগরকে অশান্ত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। সেটা যাতে করতে না পারে, সেজন্য আমরা রাজপথে থাকব।
এদিকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরের গির্জা মহল্লা ও কাঠপট্টি এলাকার অন্তত ১০টি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায় বরিশাল কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এসময় গির্জা মহল্লার হোটেল তাজ থেকে দুই কিশোর-কিশোরীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয় বলে জানায় পুলিশ।
এসজি
