স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতিকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
বরগুনার আমতলীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে আমতলী পৌর শহরের আল হেলাল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে মোয়াজ্জেম হোসেন খান আল হেলাল মোড়ে যান। ওই স্থানে পৌঁছালে উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সবুজ ম্যালাকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইফতেখার আহম্মেদ তোহা, ছাত্রলীগ সদস্য শাহাবুদ্দিন সিহাব, রুহুল আমিন স্বেছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এতে তার বাম পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থান গুরুতর জখম হয় এবং অচেতন হয়ে পড়লে তাকে সড়কে ফেলে রেখে চলে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন বিশ্বাস উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
পরে এ ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমতলী চৌরাস্তায় বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধ করে রাখে উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় আমতলী চৌরাস্তায় শতাধিক পরিবহন গাড়ি আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের আশ্বাসে আধা ঘণ্টা পর সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।
আহত মোয়াজ্জেম খানকে বরিশাল মেডিকেলে নেয়ার পথে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রলীগ নেতা সবুজ ম্যালাকার, মো. ইফতেখার আহম্মেদ তোহা, শাহাবুদ্দিন সিহার, সুমন প্যাদা, রাকিব প্যাদা ও রুহুল আমিনসহ ১২ থেকে ১৫ জন আমাকে কুপিয়েছে। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার জানান, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় বিক্ষুব্ধরা সড়ক অবরোধ করে। পরে তারা অবরোধ তুলে নেওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন খন্দকার জানান, তার বাম পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসআইএইচ