শবে বরাতে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল, পাপ মোচনের আকুতি
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
শবে বরাতে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল, চলছে ইবাদত। ছবি: সংগৃহীত
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ‘লায়লাতুল বরাত’ বা শবে বরাত। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সূর্যাস্তের পর থেকে মুসলিম উম্মাহ পবিত্র শবে বরাত পালন করছেন। অনেকেই সারারাত ইবাদত বন্দেগিতে কাটাবেন। পবিত্র এ রজনী পালন চলবে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত।
সারারাত নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের চেষ্টায় ব্যস্ত থাকবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন রাতের শেষ প্রহরে।
মসজিদ ছাড়াও বাড়িতে থেকে নফল নামাজ আদায় ও কোরআন তিলাওয়াত করছেন অনেকে। অনেকে আবার কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করবেন।
এদিকে শবে বরাত উপলক্ষে পাড়া-মহল্লাগুলোতে উৎসবের অমেজ তৈরি হয়েছে। মাংস, হালুয়া, রুটিসহ নানান উপাদেয় খাবার তৈরি হয়েছে বাড়িতে বাড়িতে। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে এসব খাবার। ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনও দেখা যাচ্ছে অনেক জায়গায়।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকেই মসজিদে মসজিদে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত হতে থাকেন। ইবাদতের পাশাপাশি চলছে এ রাতের ফজিলত ও বিশেষত্ব নিয়ে আলোচনা।
পবিত্র এ রাতকে উপলক্ষ করে মাগরিবের পর থেকে ফজর পর্যন্ত বিভিন্ন আয়োজন রাখা হয়েছে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এসব আয়োজন করেছে। এর মধ্যে বাদ মাগরিব পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন কারি গোলাম মোস্তফা। এরপর হামদ ও না’তে রাসুল (সা.) পরিবেশন করে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী।
পরবর্তী আয়োজন হিসেবে ছিল, পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে শবে বরাতের শিক্ষা ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা। আলোচনা করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এছাড়া শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস ছালাম খান।
এশার নামাজের পর শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. খলিলুর রহমান মাদানী। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে শবে বরাতের শিক্ষা ও করণীয় সম্পর্কে আরও আলোচনা করেন চরমোনাই আহসানাবাদ রসিদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।
এরপর ব্যক্তিগত নফল ইবাদত ও জিকিরের পর রাত আড়াইটায় নফল ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান।
আলোচনা শেষে আবারও ব্যক্তিগত নফল ইবাদত ও জিকিরের পর ফজরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করবেন জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী।
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)