সংযুক্ত আরব আমিরাতে শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে খালিজ টাইমস। এর ফলে আগামীকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইসলামিক মাস শাবান শুরু হচ্ছে। 

এদিকে বাংলাদেশের আকাশে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা করা হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ পড়েন, কুরআন তিলাওয়াত করেন ও জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা ও ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন মুসলমানরা।

পবিত্র শবেবরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। তাই শবেবরাত থেকেই আসন্ন পবিত্র রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আরবি দিনপঞ্জিকা অনুসারে, শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস।

হাদিস শরিফে এ রাতকে ‘শবেবরাত’ নামে আখ্যায়িত করা হয়নি; বরং একে বলা হয়েছে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বা ‘শাবান মাসের মধ্য রজনী’।

এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র শবেবরাতে দোয়া মাহফিল, কুরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি আলিবাবা নিজেদের নতুন এআই সিস্টেম ‘কুয়েন ২.৫’ প্রকাশ করেছে এবং দাবি করেছে, এটি ডিপসিকের এআই মডেলের চেয়েও শক্তিশালী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনে ও বাইরে শক্তিশালী এআই সিস্টেম তৈরির প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।

বুধবার, ৩০ জানুয়ারি, আলিবাবার ক্লাউড ইউনিট ‘কুয়েন ২.৫’ প্রকাশ করে। ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের চন্দ্র নববর্ষের শুরুর সময়ে এবং দেশটির অধিকাংশ মানুষ ছুটিতে থাকলেও এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

আলিবাবা দাবি করেছে, ‘কুয়েন ২.৫-ম্যাক্স’ চ্যাটজিপিটি ৪, ডিপসিক-ভি৩ এবং মেটার ‘লামা ৩.১’-এর চেয়ে প্রায় সব দিকেই ভালো পারফর্ম করে। তাদের অফিসিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে এআই সিস্টেমের পারফরম্যান্স নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়, যেখানে ওপেনএআই, ডিপসিক ও মেটার এআই মডেলগুলোর তুলনা করা হয়।

প্রসঙ্গত, ১০ জানুয়ারি ডিপসিক ‘ভি৩’ মডেল প্রকাশ করে, যা বাজারে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। ২০ জানুয়ারিতে ডিপসিকের ‘আর১’ মডেল প্রকাশের পর প্রযুক্তি বাজারে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সিলিকন ভ্যালিতে শেয়ারের দাম কমে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিপসিকের এআই মডেল ওপেনএআইয়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম শক্তি ব্যবহার করেও একই রকম নির্ভুল ফলাফল দিতে সক্ষম, যা বিনিয়োগকারীদের এআই কোম্পানিগুলোর ব্যয় পরিকল্পনার বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করেছে।

এর মধ্যে, চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সও তাদের ‘এআইএমই’ মডেল প্রকাশ করেছে, যা মাইক্রোসফট সমর্থিত ওপেনএআইয়ের ‘ও১’ এআই মডেলকে ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করেছে।

ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল ‘আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইনটেলিজেন্স’ (এজিআই) তৈরি করা, এবং তারা মূলত গবেষণামূলক কাজ করে চলেছে, যেখানে তরুণ স্নাতক ও ডক্টরেট শিক্ষার্থীরা কাজ করছেন।

এদিকে, আলিবাবার মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানির শক্তিশালী প্রতিযোগিতার মধ্যে ডিপসিককে ঘিরে তীব্র প্রতিযোগিতা ও প্রযুক্তির গতি আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেন, “একজন শিক্ষার্থীর জীবনের ভিত্তি তৈরি হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, এবং শিশুদের শিক্ষার ভিত তৈরিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের সবার নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার মিরপুরস্থ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় উপদেষ্টা আরও জানান, “কল্যাণ ট্রাস্ট ম্যানেজমেন্ট ও সোনালী ব্যাংক পিএলসির চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা একটি আইটি-বেইজড সিস্টেমে প্রবেশ করলাম, যা শিক্ষকদের তহবিলের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে এবং তাদের বার্ষিক তহবিল প্রদান প্রক্রিয়া সহজতর করবে।”

চুক্তি স্বাক্ষর ও সফটওয়্যার লঞ্চিং কার্যক্রমে অংশ নেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল হাকিম এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আলী খান। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী।

উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কল্যাণার্থে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত কল্যাণ ট্রাস্ট ২০২৩ সালে শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট আইন প্রণীত হয়। শিক্ষকদের বার্ষিক চাঁদার হার বর্তমানে ২০০ টাকা এবং বিভিন্ন আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে শিক্ষকদের ও তাদের পোষ্যদের জন্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

এছাড়া, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য চিকিৎসা সহায়তা, উচ্চশিক্ষা বৃত্তি এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়। ট্রাস্টের স্থায়ী আমানতে বর্তমানে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা রয়েছে, যা শিক্ষকদের আর্থিক সহায়তার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানের পর উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের অফিস পরিদর্শন করেন। এ সময় তাকে স্বাগত জানান শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক সুরাইয়া পারভীন।