জাহাজপথে হজযাত্রায় খরচ কমলেও চ্যালেঞ্জ বহুমুখী
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কর্ণফুলী নদী হয়ে সাগরপথে সৌদি আরবের জেদ্দা বন্দর পেরিয়ে মক্কা-মদিনার পথে হজ পালনের প্রচলন ছিল বহু আগেই। তবে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার বিকাশের ফলে এই জাহাজপথে হজযাত্রা থেমে যায় কয়েক দশক আগে। সম্প্রতি সমুদ্রপথে বাংলাদেশি হজযাত্রী পাঠানোর আলোচনা আবার নতুন করে শুরু হয়েছে।
সৌদি সরকারের সদ্য সম্মতিতে, বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও সৌদি হজ ও উমরাবিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউজান আল রাবিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এতে আশা তৈরি হয়েছে, কিন্তু একই সঙ্গে উঠেছে চ্যালেঞ্জের প্রশ্নও।
ভাড়া কমার সম্ভাবনা: জাহাজপথে হজে গেলে উড়োজাহাজের তুলনায় ৪০ শতাংশ খরচ কমে যাবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একটি জাহাজ ভাড়া করে প্রায় ২/৩ হাজার হজযাত্রীকে পরীক্ষামূলকভাবে পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে। তবে এর জন্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ঋণের প্রয়োজন হতে পারে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় সম্ভব হতে পারে বলে ধর্ম উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন।
সফরকাল ও চ্যালেঞ্জ: কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, জাহাজপথে হজ করতে প্রায় ২৯ দিন সময় লাগবে। তবে দীর্ঘ এই সফরে প্রবীণ হজযাত্রীদের জন্য শারীরিক ধকল, স্বাস্থ্যসেবা, ইমিগ্রেশন ও নেটওয়ার্ক সমস্যা নিয়ে চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে। এছাড়া, বাংলাদেশ-সৌদি হজ চুক্তিতে জাহাজপথ অন্তর্ভুক্ত না থাকায়, চুক্তি সংশোধন করাও জরুরি।
সম্ভাবনা ও সমাধান: যদিও চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবুও খরচ কমানোর উদ্দেশ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তা মধ্যবিত্ত ও সাধারণ হজযাত্রীদের জন্য লাভজনক হতে পারে। বিশেষ করে, যারা উড়োজাহাজের উচ্চ খরচ সামলাতে হিমশিম খায়, তাদের জন্য এটি হতে পারে একটি সাশ্রয়ী বিকল্প।