যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও কঠোর শুল্কনীতির ঘোষণা দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, শুল্ক কমানো বা ছাড় চেয়ে অনুরোধ করা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীনকে নিয়ে তিনি দিয়েছেন কঠোর হুঁশিয়ারি।
ট্রাম্প দাবি করেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা তিনি ‘রেকর্ড পরিমাণ শুল্ক, অবৈধ ভর্তুকি ও মুদ্রা কারসাজি’র প্রতিক্রিয়া হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, যদি চীন ৮ এপ্রিল ২০২৫ সালের মধ্যে এই বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে ৯ এপ্রিল থেকে চীনের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কের হার দাঁড়াবে সর্বোচ্চ ১০৪ শতাংশ পর্যন্ত। একইসঙ্গে তিনি জানান, চীনের অনুরোধে নির্ধারিত বৈঠকগুলোও বাতিল করা হবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যারা শুল্ক ছাড় বা আলোচনার আবেদন করেছে, তাদের সঙ্গে দ্রুত সংলাপে বসার কথাও জানান ট্রাম্প। তিনি লেখেন, “অন্যান্য দেশ যারা বৈঠকের জন্য অনুরোধ করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা খুব দ্রুত শুরু হবে। মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ!”
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই ঘোষণা একদিকে যেমন চীনের ওপর শুল্কের চাপ আরও বাড়ানোর কৌশল, অন্যদিকে অন্যান্য বাণিজ্যিক অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রেখে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টা। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতিতে তার এই কৌশলী অবস্থান আগামী নির্বাচনের আগেও বেশ আলোচিত হতে পারে।