জালিমদের ব্যাপারে ইসলাম যা বলে
ছবি: সংগৃহীত
জুলুম অর্থ অত্যাচার হলেও এর অর্থ ইসলামে ব্যাপক। সাধারণত কারও ওপর অন্যায় আচরণ করা, কারও হক নষ্ট করাকে জুলুম বলা হয়। ব্যাপক অর্থে জুলুম মানে হলো কোনো জিনিসকে এমন জায়গায় রাখা যেখানে তা থাকার কথা ছিল না।
আল্লাহ রাব্বুল আলআমিন পবিত্র কোরআনে বলেছেন ‘আমি জালিমদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি অগ্নি, যার বেষ্টনী তাদের পরিবেষ্টন করে রাখবে, তারা পানীয় চাইলে তাদের দেয়া হবে গলিত ধাতুর মতো পানীয়, যা তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে, এটি কত নিকৃষ্ট পানীয়, জাহান্নাম কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয়।’ (সুরা কাহফ ২৯)
যে ব্যক্তি জুলুম করে তাকে জালেম বলা হয়। আল্লাহ তা‘আলা জালেমদের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘জালিমদের কোনো বন্ধু নেই এবং সুপারিশকারীও নেই, যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে।’ (সুরা মুমিন: ১৮)
জুলুমকে আল্লাহ তা‘আলা নিজের জন্য হারাম করে নিয়েছেন মর্মে হাদিসে কুদসিতে নবীজি ঘোষণা করেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে আমার বান্দারা! আমি আমার নিজের জন্যে জুলুম করা হারাম করে নিয়েছি এবং তোমাদের পরস্পরের মধ্যেও জুলুম হারাম করেছি। সুতরাং তোমরা একজন অন্যজনের উপর জুলুম করো না।’ (মুসলিম, তিরমিজি)
জালেমদের প্রতি সতর্কবার্তা
জালেমরা এত জুলুম করেও কেন পার পেয়ে যায়, সে ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তুমি কখনও মনে করো না যে, জালিমরা যা করছে সে বিষয়ে মহান আল্লাহ উদাসীন। আসলে তিনি সেদিন পর্যন্ত তাদের অবকাশ দেন, যেদিন সব চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। ভীত-বিহ্বল চিত্তে আকাশের দিকে চেয়ে তারা ছুটাছুটি করবে, আতঙ্কে তাদের নিজেদের দিকেও ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে (ভয়ানক) উদাস।’
সেদিন সম্পর্কে তুমি মানুষকে সতর্ক করো যেদিন তাদের শাস্তি আসবে, যেদিন জালিমরা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের কিছুকালের জন্য অবকাশ দাও, আমরা তোমার আহ্বানে সাড়া দেব এবং রসুলদের অনুসরণ করব। (তখন তাদের বলা হবে,) তোমরা কি পূর্বে শপথ করে বলতে না যে, তোমাদের কোনো পতন নেই? (সুরা ইবরাহিম ৪২-৪৪)
জুলুমের শাস্তি
জালেমদের শাস্তির ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আমি জালিমদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি অগ্নি, যার বেষ্টনী তাদের পরিবেষ্টন করে রাখবে, তারা পানীয় চাইলে তাদের দেয়া হবে গলিত ধাতুর মতো পানীয়, যা তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে, এটি কত নিকৃষ্ট পানীয়, জাহান্নাম কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয়।’ (সুরা কাহফ ২৯)
এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন, ‘তাদের সতর্ক করে দাও আসন্ন দিন (কেয়ামত) সম্পর্কে যখন দুঃখকষ্টে তাদের প্রাণ কণ্ঠাগত হবে। জালিমদের জন্য কোনো অন্তরঙ্গ বন্ধু নেই এবং যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে এমন কোনো সুপারিশকারীও নেই।’ (সুরা মুমিন ১৮)
আর্টিকেল: মাওলানা নোমান বিল্লাহ