মাওলানা লুৎফর রহমানের জানাজায় মানুষের ঢল
ছবি: সংগৃহীত
দেশের জনপ্রিয় প্রখ্যাত আলেম, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা লুৎফর রহমানের দ্বিতীয় জানাজা নামাজে গণমানুষের ঢল নেমেছে। দুর-দুরান্ত থেকে মরহুমের জানাজায় অংশ নিতে এসেছেন শুভাকাঙ্খীরা।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের গাজীপুর রাজ্জাকিয়া জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকায় কাউকেই মরহুমের মরদেহ দেখানো হয়নি। তার তৃতীয় নামাজের জানাজা বদরপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ-মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের জেনারেল সেক্রেটার মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহ সেক্রেটারী এটিএম মাসুম, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারীর রুহুল আমিন, শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ড. রেজাউল করিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বিপ্লব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ইমতিয়াজ আরাফাত, করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মির্জা, বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি।
জানা গেছে, রোববার বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বুকে ব্যথা অনুভব করেন মাওলানা লুৎফর রহমান। তাৎক্ষণিক তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি ব্রেনস্ট্রোক করেছেন বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
লুৎফর রহমান লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত মাওলানা আব্দুস সামাদের ছেলে। তিনি ৫ কন্যা ও ২ ছেলের জনক। আল্লামা লুৎফর রহমান কর্মজীবনে রাজখালি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।