নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) এর আদর্শ
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
সময়ের আবর্তনে পৃথিবীতে অনেক মহাপুরুষের আবির্ভাব হয়েছে। যারা আপন কর্ম-বৈশিষ্ট্য ও চারিত্রিক-মাধুর্যে ইতিহাসের পাতায় সদা দেদীপ্যমান হয়ে আছেন। সে মহামনীষী ও রথী-মহারথীদের মধ্যে কেবল হজরত মুহাম্মদ (সা.) একমাত্র ব্যক্তিত্ব; যিনি পূর্ণাঙ্গ জীবনাদর্শের স্থপতি ছিলেন।
শুধু তাই নয়, তার সে আদর্শ তখনকার ও অনাগত সব মানুষের জন্যে সর্বোত্তম, সর্বোন্নত, সর্বোৎকৃষ্ট। পৃথিবীর উদার চিন্তাশীলমহল বিনা সংকোচে সেটি স্বীকার করে।
বিশ্ব নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নেতা হবেন জনগণের সেবক’। (মিশকাত আল মাসাবিহ, হাদিস: ৩,৯২৫) তিনি তার অনুসারীদের এভাবেই তৈরি করেছিলেন। ফলে প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত ব্যক্তিরা নিজেদের জনগণের সেবকের ভূমিকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
নেতা নির্বাচনে মহানবী (সা.) কেবল যোগ্য ও বিশেষজ্ঞকে মনোনীত করতেন। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ক্ষমতা বা পদের জন্য লালায়িত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচন করতেন না। তিনি বলেন, ‘আমি এই দায়িত্বপূর্ণ কাজে এমন কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ করব না, যে তা পাওয়ার জন্য প্রার্থী হবে; অথবা এমন কাউকেও নয়, যে তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে’। (মুসলিম, হাদিস: ১,৮২৪)
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি চেয়ে নিয়ে তা লাভ করো, তাহলে তোমাকে ওই দায়িত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর না চাইতেই যদি তা পাও তাহলে তুমি সে জন্য সাহায্যপ্রাপ্ত হবে’। (বুখারি, হাদিস: ৭,১৪৭; মুসলিম, হাদিস: ১,৬৫২)