সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

স্মরণশক্তি বাড়ানোর কিছু আমল ও দোয়া

ছবি সংগৃহিত

স্মৃতিশক্তি মানুষের অমূল্য সম্পদ। সঠিক ব্যবহারে মানুষের স্মৃতিশক্তি অটুট থাকে এবং ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে দোয়া, জিকির বেশ কিছু কাজের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ১০টি সহজ উপায় তুলে ধরা হলো। যে উপায়গুলো শুধু স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেবে এমনই নয় বরং তা মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় যথাযথ কার্যকরী। তাহলো-

১. দোয়া ও জিকির

আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো কাজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। এজন্য মুমিন মুসলমানের উচিত সর্বদা আল্লাহর কাছে দোয়া ও জিকির করা যাতে তিনি সবার স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেন এবং কল্যাণকর জ্ঞান দান করেন। এক্ষেত্রে কুরআনুল কারিমের এ দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করা-

উচ্চারণ : ‘রাব্বি যিদনি ইলমা’
অর্থ : হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দিন।’ (সুরা ত্বহা : আয়াত ১১৪)

২. গোনাহ থেকে বিরত থাকা

আলো ও অন্ধকার এক সঙ্গে থাকতে পারে না। জ্ঞান হলো আলো আর গোনাহ হলো অন্ধকার। তাই জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে হলে অবশ্যই গোনাহ থেকে দূরে থাকতে হবে। তবেই মানুষের স্মরণ শক্তি লোপ পাবে না। তা দিন দিন বাড়বে।
প্রতিনিয়ত পাপ করে যাওয়ার একটি প্রভাব হচ্ছে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া। পাপের অন্ধকার ও জ্ঞানের আলো কখনো একসঙ্গে থাকতে পারে না। ইমাম শাফেঈ রাহিমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
‘আমি (আমার শাইখ) ওয়াকিকে আমার খারাপ স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলাম এবং তিনি শিখিয়েছিলেন আমি যেন পাপকাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখি। তিনি বলেন- আল্লাহর জ্ঞান হলো একটি আলো এবং আল্লাহর আলো কোনো পাপচারীকে দান করা হয় না।’
হজরত ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া বলেন, ‘এক ব্যক্তি মালিক ইবনে আনাসকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘হে আল্লাহর বান্দা! আমার স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করে দিতে পারে এমন কোনো কিছু কি আছে? তিনি বলেন, যদি কোনো কিছু স্মৃতিকে শক্তিশালী করতে পারে তা হলো পাপ করা ছেড়ে দেয়া।’ (আল-খাতিব আল-জামি)

সুতরাং যখন কোনো মানুষ পাপ করে এটা তাকে উদ্বেগ ও দুঃখের দিকে ধাবিত করে। সে তার কৃতকর্মের ব্যাপারে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে ভোঁতা হয়ে যায় তার অনুভূতি এবং জ্ঞান অর্জনের মতো কল্যাণকর আমল থেকে সে দূরে সরে পড়ে। তাই আমাদের উচিত পাপ থেকে দূরে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা।

৩. ইখলাস বা আন্তরিক

সফলতা অর্জনে যেমন ইখলাস বা আন্তরিকতার বিকল্প নেই। তেমনি স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতেও ইখলাসের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আর ইখলাসের মূল উপাদানই হচ্ছে বিশুদ্ধ নিয়ত। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘তাদেরকে এছাড়া কোরো নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, নামাজ কায়েম করবে এবং জাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।’ (সুরা আল-বায়্যিনাহ : আয়াত ৫)

এ জন্যই স্মরণশক্তি ধরে রাখা কিংবা বাড়ানোর মূলমন্ত্রও কাজের প্রতি নিয়তের বিশুদ্ধতা, ইখলাস তথা যথাযথ আন্তরিকতা রাখা। এ সম্পর্কে বিশ্বনবি বলেন, ‘ব্যক্তির সব আমলই নিয়তের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ যার নিয়ত যত পরিশুদ্ধ ও ইখলাসপূর্ণ হবে তার কাজ তত মজুবত হবে।

ইসলামিক স্কলার খুররাম মুরাদ বলেন, ‘উদ্দেশ্য বা নিয়ত হল আমাদের আত্মার মত অথবা বীজের ভিতরে থাকা প্রাণশক্তির মত। বেশীরভাগ বীজই দেখতে মোটামুটি একইরকম, কিন্তু লাগানোর পর বীজগুলো যখন চারাগাছ হয়ে বেড়ে উঠে আর ফল দেয়া শুরু করে তখন মানুষের কাছে বীজের আসল পার্থক্যটা পরিস্কার হয়ে যায়। একইভাবে নিয়ত যত বিশুদ্ধ হবে আমাদের কাজের ফলও তত ভালো হবে।’
সুতরাং মুমিন মুসলমানের নিয়ত এমন হতে হবে যে, আল্লাহ আমাদের স্মৃতিশক্তি যেনো একমাত্র ইসলামের কল্যাণের জন্যই বাড়িয়ে দেন।

৪. স্মরণ রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা

সবার মুখস্থ করার পদ্ধতি বা স্মৃরণ রাখার শক্তি এক নয়। কারো শুয়ে পড়লে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কারো আবার হেঁটে হেঁটে পড়লে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়। কেউ নীরবে পড়তে ভালোবাসে, কেউবা আবার আওয়াজ করে পড়ে। কারো ক্ষেত্রে ভোরে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কেউবা আবার গভীর রাতে ভালো মুখস্থ করতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজ নিজ উপযুক্ত সময় ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ঠিক করে তার যথাযথ ব্যবহার করা। আর কুর’আন মুখস্থ করার সময় একটি নির্দিষ্ট মুসহাফ (কুর’আনের আরবি কপি) ব্যবহার করা। কারণ বিভিন্ন ধরনের মুসহাফে পৃষ্ঠা ও আয়াতের বিন্যাস বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। একটি নির্দিষ্ট মুসহাফ নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্কের মধ্যে তার একটি ছাপ পড়ে যায় এবং মুখস্থকৃত অংশটি অন্তরে গভীরভাবে গেঁথে যায়।

৫. নিয়মিত আমল করা

স্মৃতিতে থাকা বিষয়গুলোর উপর আমল করা। পড়ার জিনিস হলে তা বার বার পড়া। কাজের বিষয় হলে সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত থাকা। কাজের বিষয়ে যতবেশি আমল বা বাস্তব প্রয়োগ হবে স্মৃতিশক্তি তত ঠিক থাকবে। এমনকি স্মৃতিশক্তি বেড়ে যাবে। মস্তিষ্কে বিষয়গুলো স্থায়ীভাবে জমে যাবে।

৬. অন্যকে শেখানোর দায়িত্ব পালন করা

স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখার অন্যতম মাধ্যম নিজের শেখা জিনিসগুলো অন্যকে শেখানো। অন্যকে শেখানোর মাধ্যমে নিজের স্মৃতিশক্তি ঠিক থাকবে। একই বিষয় বারবার করলে তা স্মৃতিতে থাকবে অমলিন ও স্থায়ী। তাই জানা জিনিসগুলো বারবার

৭. পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাসের বিকল্প নেই। মস্তিষ্কের গঠন ও উন্নতির জন্য উপযোগী খাবার গ্রহণ করা। স্মৃতি শক্তি বাড়াতে পরিমাণ মতো আমিষ, চর্বি ও শর্করা, শব্জি ও শক্তিবর্ধক খাদ্য মধু, যয়তুন, দুধ ইত্যাদি পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় জরুরি।

ইমাম জুহরি রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মতে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে মধু ও কিসমিস খাওয়া উচিত। এ সম্পর্কে তিনি বলেন-
> ‘তোমাদের মধু পান করা উচিত; কারণ এটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য উপকারী।’ মধুতে রয়েছে মুক্ত চিনিকোষ যা মস্তিষ্কের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মধু পান করার পর সাত মিনিটের মধ্যেই রক্তে মিশে গিয়ে কাজ শুরু করে দেয়।
> যে ব্যক্তি হাদিস মুখস্থ করতে চায়; তার উচিত কিসমিস খাওয়া।’

৮. যথাযথ বিশ্রাম নেওয়া

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেয়ার বিকল্প নেই। মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিতে হলে অবশ্যই নিরিবিলি কোলাহল মুক্ত পরিবেশে সময় কাটানো। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সময় ও ক্ষণ অনুযায়ী সামান্য সময় হলেও বিশ্রাম নেয়া জরুরি। এ বিশ্রাম মানুষের ক্লান্তি ও অবসাদকে দূর করে দেয়। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটি বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতও বটে।

৯. অপ্রয়োজনীয় কাজ ছেড়ে দেওয়া

প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো স্মৃতিতে জমা রাখতে অপ্রয়োজনীয় বিষয় ও কাজ ছেড়ে দেয়া জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, নামাজ পড়ার সময় কত আয়াত নামাজ পড়া হলো তাই স্মরণ করা কষ্ট হয়ে যায়। সে কারণে অপ্রয়োজনীয় কাজে মন ও স্মৃতিকে ব্যস্ততায় নিমজ্জিত না করা। অযথা আড্ডা-গান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় ব্যয় না করা।

১০. আল্লাহর ওপর ভরসা করা

স্মরণ রাখা কষ্টসাধ্য কাজ। কোনো কিছুই মনে রাখতে পারছেন না! তাই হতাশ হওয়ার কিছু নেই। স্মরণ রাখার প্রচেষ্টাই স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেবে। আশাহত না হয়ে যে কোনো কাজে নিয়মিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায়। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে মহান আল্লাহর ওপর প্রচণ্ড আস্থা ও বিশ্বাস রেখে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথ যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন। গোনাহমুক্ত জীবন গড়ার মাধ্যমে নিজেদের স্মৃতিশক্তি অটুট রাখাসহ তা আরও বাড়ানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

Header Ad
Header Ad

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে দেশে কিছু লোডশেডিং চালু রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, কিছু লোডশেডিং না দিলে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে লোডশেডিং যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে চেষ্টা করা হবে। তিনি জানান, শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং কার্যকর করা হবে।

সচিবালয়ে গ্রিড বিপর্যয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে দেশে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গরমের কারণে আগামী দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তখন চাহিদা মেটাতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, যে হারে এসি স্থাপন করা হচ্ছে, সে হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়নি। অনেকে অকারণে লাইট, ফ্যান ও এসি চালু রাখায় বিদ্যুৎচাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল ও খুলনায় ২৬ এপ্রিল যে গ্রিড বিপর্যয় ঘটে, তার তদন্তে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বুয়েটের উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরীকে। কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ, দায়ী ব্যক্তিদের ভূমিকা ও ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ করবে।

মেট্রোরেল এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকার কারণও তদন্তে নেওয়া হয়েছে। বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হককে প্রধান করে একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেল বন্ধ থাকার মূল কারণ ছিল বিদ্যুৎ সংকট।

এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং এলএনজি আমদানির আর্থিক সামর্থ্যও কমে গেছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পিজিসিবি ও পিডিবি জানায়, আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ সার্কিট লাইনের ৪০০ কিলোভোল্টের দুটি তার কাছাকাছি আসায় শর্ট সার্কিট হয় এবং সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর ফলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৫টি জেলা—খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী—প্রায় ১৫ মিনিট থেকে ৯৬ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং রাত সাড়ে আটটার পর পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।

Header Ad
Header Ad

গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় একাধিক শিশু-কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মসজিদের ইমাম গণপিটুনির শিকার হয়ে পরে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ইমামের নাম রহিজ উদ্দিন (৩৫), তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বাদশা মিয়ার ছেলে এবং হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে রহিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এতে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে, এমনকি তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং নির্যাতিত এক কিশোরের বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।

পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একই রাতের (২৭ এপ্রিল) দিবাগত ৩টার দিকে রহিজ উদ্দিন কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, মৃত ইমামের শরীরে গণপিটুনির চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়ার ফলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

পূবাইল থানার ওসি এসএম আমিরুল ইসলাম বলেন, রহিজ উদ্দিন স্থানীয় স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেদের নিজের থাকার কক্ষে এনে কম্পিউটার গেমস ও মোবাইল গেম খেলার সুযোগ দিতেন এবং কোমল পানীয় খাওয়াতেন। ওই পানীয় সেবনের পর অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাদের বলৎকার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক কলেজছাত্রের কাছ থেকে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেয়।

Header Ad
Header Ad

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ঢাকার দুই বাসিন্দা এই নোটিশ পাঠান, যাতে ইশরাকের নামে গেজেট প্রকাশ ও শপথ অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই দুই বাসিন্দার পক্ষে আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি জানান, গত ২৭ এপ্রিল (রোববার) এ নোটিশ পাঠানো হয়। তবে একই রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করে। ফলে এখন পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কী হবে, তা নোটিশদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে তৎকালীন বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন। ওই নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।

নোটিশের পক্ষের দাবি:

- ট্রাইব্যুনাল যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত রায় দিয়েছে।

- নির্বাচন কমিশন এ রায় চ্যালেঞ্জ করেনি, বরং গেজেট প্রকাশ করেছে।

- আইন উপদেষ্টার মতামতের জন্য অপেক্ষা না করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের আদেশে কার্যকারিতা নেই, কারণ মেয়রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং পদটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইতোমধ্যে শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এবং ইশরাক হোসেন বরাবর।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন