সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

যে পথ দেখাবে সফলতা !

ছবি: সংগৃহীত

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক লিও টলস্টয় যখন নিঃসঙ্গ অবস্থায় রাস্তার ধারে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন, সে সময় তার কোটের পকেট হতে তার নিত্য সময়ের সঙ্গী যে বইটি পাওয়া যায়, সেটি ছিল আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী লিখিত ‘দ্য সেয়িংস অব প্রফেট মুহাম্মদ’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বাংলায় যার শিরোনাম ‘মহানবীর বাণী’।

হাদিস সংকলন এই বইয়ে উল্লেখিত এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত রাসূল্লাল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি নিজের জন্য যেটা ভালো মনে করবে, অন্যের জন্যও তা ভাববে। আর যেটা নিজের জন্য মন্দ মনে করবে, অন্যের জন্যও তাই মনে করবে।

’ -সহিহ বোখারি ও মুসলিম
বর্ণিত হাদিসের বিশ্লেষণের পূর্বে একটি ঘটনা উল্লেখ করা যেতে পারে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের (মরহুম) প্রফেসর আবদুন নূর ‘আয-যিকরু ওয়াল ফালাহ’ গ্রন্থে তার প্রত্যক্ষভাবে শোনা একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। ঘটনাটি হলো-

এক মার্কিন তরুণী দীর্ঘ দু’বছর মেলামেশার পর, তার বাংলাদেশি বন্ধুকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। বন্ধুটি বলে যে, সে রক্ষণশীল পরিবারের সন্তান। তাই তাকে বিয়ে করতে হলে মেয়েটিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলিম হতে হবে। মার্কিন তরুণীটি ইসলাম ধর্ম কী, তা জানতে ও বুঝতে চাইলো। ছেলেটি তখন তাকে আল্লামা আবদুল্লাহ ইউসূফ আলী কর্তৃক ইংরেজিতে অনূদিত কোরআন শরিফের একটি কপি দিয়ে বললো যে, ওটি পড়লে সে ইসলাম সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারবে।

দু’মাস কোরআন অধ্যয়নের পর মার্কিন তরুণীটি এসে জানালো, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমি ইসলাম গ্রহণ করবো। ইসলামের সৌন্দর্য ও সমন্বিত নীতিমালা আমাকে আকর্ষণ করেছে। এ ব্যাপারে আমার মা-বাবারও আপত্তি নেই। কিন্তু তোমাকে আর বিয়ে করতে পারবো না। কারণ তোমার আচার-আচরণ লক্ষ্য করছি সম্পূর্ণ কোরআন পরিপন্থী। -পৃ. ৩৭

টলস্টয় এবং মার্কিন তরুণী যা বুঝতে ও অনুধাবণ করতে পেরেছে, মুসলমানরা তা কতটুকু হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হয়েছেন? অথচ পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারা (আয়াত ১৮৯), সূরা আলে ইমরান (আয়াত ১৪৪), সূরা আল মুমেনুন (আয়াত ১-১১), সূরা আন নূর (আয়াত ৬২), সূরা আশ শোয়ারা’র (আয়াত ৯০) মানুষের শ্রেণি বিভাগ এবং তাড়না ও আচরণের মিথষ্ক্রিয়ায় মানবিক বিকাশের ধারাক্রম বর্ণনা করা হয়েছে। যার ভিত্তিতে মানুষের জীবন বিকাশের পর্যায়গুলো হলো-

মানুষের মধ্যে রয়েছে আল্লাহর প্রভুত্বে বিশ্বাসী মুমিন। তার ওপরের স্তরে রয়েছে সচেতনভাবে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী মুসলিম। তার ওপরের স্তরে রয়েছে আল্লাহর সব হুকুম-আহকাম সতর্কভাবে পালনকারী মুত্তাকি। আর সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে সৎকর্মপরায়ন মোহসিনিন।

মানবজীবনের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছার অভিলাষে তিলে তিলে অগ্রসর হতে হয়। গড়ে তুলতে হয় কোরআন ও সূন্নাহভিত্তিক জীবন-যাপন প্রণালী। আমরা প্রত্যহ ফজরের নামাজ সমাপনান্তে দিনের কর্মকাণ্ডের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি। নিজ নিজ পেশা ও কর্মে আমরা পূর্ণ সফলতা প্রত্যাশা করি।

কিন্তু ‘কিভাবে জীবনে সফলতা লাভ করা যায়’- এটা জানতে হলে মানবজাতির উদ্দেশ্যে আল্লাহতায়ালার প্রথম নির্দেশনার দিকে লক্ষ্য করতে হয়। আর সেটা হলো- ‘পড়!’

অর্থাৎ পাঠ ও অধ্যয়নের নির্দেশ। অতএব নিত্য দিনের যথোপযুক্ত কর্মের শুরুতে আমাদেরকে পড়তে হবে আল্লাহতায়ালার কিতাব- আল কোরআন। যেখানে রয়েছে মানবজাতির দিশা। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের বহুবিধ সমস্যার সমাধান এবং সঠিক পথের দিক-নির্দেশনা।

পবিত্র কোরআনে তাগিদ দেওয়া হয়েছে যে, আমরা যে কাজই করি না কেন, প্রতিটি কাজ যেন আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সূসম্পন্ন হয়। একই সঙ্গে মানুষকে উদ্যমী ও পরিশ্রমী হতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘ফলাফলের জন্য বিশ্বাসীরা আল্লাহর ওপরই নির্ভর করবে এবং ধৈর্য ধারণ করবে। ’-সূরা ইবরাহিম: ১১-১২

এ প্রেক্ষাপটে আমাদের সামনে সফলতার আদর্শ হচ্ছেন পবিত্র কোরআনের ভাষায় অনুসরণীয় উত্তম আদর্শ মহানবী (সা.) জীবন।

কিশোর বয়সে তিনি ছিলেন সমাজহিতৈষী, সত্যবাদী, চরিত্রবান, সংঘাত নিরসনে উত্তম ও ন্যায়সঙ্গত সমাধানকারী ও বিশ্ব আমানতদার ‘আল-আমিন’। পারিবারিক জীবনে তিনি ছিলেন আদর্শ স্বামী ও স্নেহময়-দায়িত্ববান পিতা। সামাজিক জীবনে তিনি ছিলেন সদাচারী ব্যক্তিত্ব, উপকারী প্রতিবেশী, সৎ ও সফল ব্যবসায়ী, দানবীর, আধ্যাত্মিক সাধনায় সিদ্ধ পুরুষ শ্রেষ্ঠ, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কূটনীতিক, কৌশলী সমর নেতা, আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক, ত্যাগ-ক্ষমা-মহত্ত্বে অতুলনীয় আদর্শ, দুর্বল, সংখ্যালঘু ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠতম সংগ্রামী।

অতএব মানুষের জন্য হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও সূন্নাহ হচ্ছে জীবনের সফলতার একমাত্র পরীক্ষিত পাথেয়।

এ বিষয়ে কোরআনে কারিমের নিদের্শনা হচ্ছে, ‘আনুগত্য করো আল্লাহর এবং অনুসরণ করো আল্লাহর রাসূলকে। ’ -সূরা আলে ইমরান: ৩২

জীবনের সফলতা, এমন কি পরকালীন অনন্ত জীবনের সাফল্য ও মুক্তির জন্য আল্লাহর আনুগত্যের পথে যেতে হবে। আর সে সাফল্যের পথ রয়েছে আল্লাহর রাসূলের অনুসরণের মাধ্যমে।

অতএব প্রতিটি মুমিন-মুসলমানের জন্য আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের মাধ্যমে যেমন প্রভুর সঙ্গে দাসের সম্পর্ক গড়তে হয়; তেমনিভাবে আল্লাহর রাসূলের অনুসরণের মাধ্যমে উম্মতের সম্পর্ক গড়তে হয়।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের অনেক জায়গায় আলোচনা রয়েছে। এসব আলোচনা নিয়ে আমাদের ভেবে দেখা দরকার। কারণ কোরআন নির্দেশিত পথেই রচিত হবে রাসূলের সঙ্গে বান্দার সম্পর্কের ভিত্তি।

পবিত্র কোরআনে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সম্পর্কিত আয়াতসমূহকে আমরা ১৫টি বিষয়ভিত্তিক অধ্যায়ে ভাগ করতে পারি।

১. মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। সূরা আল বাকারা- ১১৯, আন নিসা- ৭৯, আর রা’দ- ৩০, বনী ইসরাঈল- ১০৫, আল আম্বিয়া- ১০৭, আল আহজাব- ৪৫, সাবা ২৮, ইয়াসিন- ৩।

২. নবীদের মানবরূপী মাবুদ মনে করা কুফরি। সূরা আল মায়েদা: ৭২-৭৪।

৩. নিজেদের দিকে নয় বরং আল্লাহর দাসত্বের দিকেই নবীদের আহ্বান। সূরা আলে ইমরান- ৭৯।

৪. রাসূল (সা.)সব নবীদের মধ্যে উত্তম। সূরা আল আহজাব- ৪০ ও সাবা- ৩৮।

৫. রাসূল (সা.)-এর বিশেষ গুণাবলী। -সূরা আত তাওবা- ১২৮, আল আম্বিয়া- ১০৭, আল আহজাব- ৪৫-৪৬ ও সাবা- ২৮।

৬. আল্লাহর রাসূলের দায়িত্ব। সূরা আলে ইমরান-২০, আল মায়েদা- ৬৭, ৯২ এবং ৯৯, আর রা’দ- ৪০ ও আশ শুরা- ৮৪।

৭. রাসূল (সা.) হচ্ছেন নামাজিদের ইমাম। সূরা আন নিসা- ১০২ ও আত তাওবা- ১০৩।

৮. রাসূল (সা.) হচ্ছেন আল্লাহর তরফ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারক। সূরা আন নিসা ৬৫ ও ১০৫।

৯. রণাঙ্গনের সেনাপতি আল্লাহর রাসূল (সা.)। সূরা আলে ইমরান- ১২১, আন নিসা- ৮৪, আল আনফাল- ৫৭ এবং ৬৫।

১০. পরামর্শ সভা বা শুরা কাউন্সিলের প্রধান মহানবী (সা.)। সূরা আলে ইমরান- ১৫৯।

১১. রাসূল (সা.) হচ্ছেন সর্বোত্তম চরিত্রের নমুনা। সূরা আলে ইমরান- ১৫৯, আত তাওবা- ১২৭, আল ক্বলাম- ৪।

১২. রাসূল (সা.) ছিলেন শত্রুদেরও কল্যাণকামী। সূরা আল কাহফ- ৬।

১৩. সকল নবীই রাসূল (সা.)-এর উম্মতের ব্যাপারে সাক্ষী। সূরা আন নাহল- ৮৪ ও ৮৯।

১৪. উম্মতে মুহাম্মদি অন্য সব উম্মতের সাক্ষী। সূরা বাকারা- ১৪৩।

১৫. নবীদের নিজস্ব ক্ষমতায় নয়; বরং আল্লাহর ইচ্ছায়ই তারা মোজেযা দেখাতে পারেন। সূরা আল আনআম- ১০৯ ও আর রা’দ- ৩৮।

উপরোক্ত আয়াতসমূহ বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হলে রেসালাত এবং রাসূল (সা.)-এর অনুসরণের একটি সূস্পষ্ট ও পরিপূর্ণ দিক-নির্দেশনা পাওয়া সম্ভব।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যে, সূরা আল ক্বমার মক্কায় অবতীর্ণ পবিত্র কোরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। আল্লাহতায়ালা এই সূরায় একটি বিশেষ আয়াত ৪ বার উল্লেখ করেছেন। ওই আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘অবশ্যই আমি শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি, অতএব আছে কি তোমাদের মাঝে কেউ এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার?’

বস্তুত পবিত্র কোরআন শুরু হয়েছে ‘পড়’ বলে, ‘শিক্ষা দেওয়ার জন্য সহজ করে’ এবং ‘আছ কি কেউ’ বলে সন্ধান করা হচ্ছে এর শিক্ষার্থীদের।

হজরত রাসূল (সা.) সারা জীবন কোরআনের শিক্ষা প্রচার আর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে দিয়ে গেছেন দুনিয়া ও আখেরাতে সাফল্যের দিশা। এ কারণেই রাসূল (সা.)-এর জীবন হয়ে ওঠেছিলো –‘জীবন্ত কোরআন’ স্বরূপ।

পবিত্র কোরআনের পথে চলে রাসূল (সা.)-এর অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার প্রকৃত দাসত্ব ও আনুগত্যকে জ্ঞান, শিক্ষা, প্রজ্ঞা ও কর্মের যোগ্যতায় পরিপূর্ণ করে ইহ ও পরকালীন কল্যাণ নিশ্চিত করাই আজকের সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে জরুরি কর্তব্য।

লিখেছেন- ড. মাহফুজ পারভেজ, প্রফেসর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

Header Ad
Header Ad

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে দেশে কিছু লোডশেডিং চালু রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, কিছু লোডশেডিং না দিলে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে লোডশেডিং যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে চেষ্টা করা হবে। তিনি জানান, শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং কার্যকর করা হবে।

সচিবালয়ে গ্রিড বিপর্যয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে দেশে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গরমের কারণে আগামী দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তখন চাহিদা মেটাতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, যে হারে এসি স্থাপন করা হচ্ছে, সে হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়নি। অনেকে অকারণে লাইট, ফ্যান ও এসি চালু রাখায় বিদ্যুৎচাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল ও খুলনায় ২৬ এপ্রিল যে গ্রিড বিপর্যয় ঘটে, তার তদন্তে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বুয়েটের উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরীকে। কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ, দায়ী ব্যক্তিদের ভূমিকা ও ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ করবে।

মেট্রোরেল এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকার কারণও তদন্তে নেওয়া হয়েছে। বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হককে প্রধান করে একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেল বন্ধ থাকার মূল কারণ ছিল বিদ্যুৎ সংকট।

এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং এলএনজি আমদানির আর্থিক সামর্থ্যও কমে গেছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পিজিসিবি ও পিডিবি জানায়, আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ সার্কিট লাইনের ৪০০ কিলোভোল্টের দুটি তার কাছাকাছি আসায় শর্ট সার্কিট হয় এবং সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর ফলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৫টি জেলা—খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী—প্রায় ১৫ মিনিট থেকে ৯৬ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং রাত সাড়ে আটটার পর পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।

Header Ad
Header Ad

গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় একাধিক শিশু-কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মসজিদের ইমাম গণপিটুনির শিকার হয়ে পরে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ইমামের নাম রহিজ উদ্দিন (৩৫), তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বাদশা মিয়ার ছেলে এবং হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে রহিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এতে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে, এমনকি তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং নির্যাতিত এক কিশোরের বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।

পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একই রাতের (২৭ এপ্রিল) দিবাগত ৩টার দিকে রহিজ উদ্দিন কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, মৃত ইমামের শরীরে গণপিটুনির চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়ার ফলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

পূবাইল থানার ওসি এসএম আমিরুল ইসলাম বলেন, রহিজ উদ্দিন স্থানীয় স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেদের নিজের থাকার কক্ষে এনে কম্পিউটার গেমস ও মোবাইল গেম খেলার সুযোগ দিতেন এবং কোমল পানীয় খাওয়াতেন। ওই পানীয় সেবনের পর অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাদের বলৎকার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক কলেজছাত্রের কাছ থেকে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেয়।

Header Ad
Header Ad

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ঢাকার দুই বাসিন্দা এই নোটিশ পাঠান, যাতে ইশরাকের নামে গেজেট প্রকাশ ও শপথ অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই দুই বাসিন্দার পক্ষে আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি জানান, গত ২৭ এপ্রিল (রোববার) এ নোটিশ পাঠানো হয়। তবে একই রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করে। ফলে এখন পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কী হবে, তা নোটিশদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে তৎকালীন বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন। ওই নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।

নোটিশের পক্ষের দাবি:

- ট্রাইব্যুনাল যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত রায় দিয়েছে।

- নির্বাচন কমিশন এ রায় চ্যালেঞ্জ করেনি, বরং গেজেট প্রকাশ করেছে।

- আইন উপদেষ্টার মতামতের জন্য অপেক্ষা না করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের আদেশে কার্যকারিতা নেই, কারণ মেয়রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং পদটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইতোমধ্যে শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এবং ইশরাক হোসেন বরাবর।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন