বৃহস্পতিবার রাত সম্পর্কে যা বলেছেন মহানবী (সা.)
ফাইল ছবি
শুক্রবারের আগের রাতটি খুবই ফজিলতপূর্ণ একটি রাত। এই রাতের বিশেষ আমল আল্লাহ পছন্দ করেন। এই জন্য সকলে বৃহস্পতিবারে দিনে রাতে রাব্বুল আলামিনের ইবাদত করার জন্য মশগুল থাকব ইনশাআল্লাহ।
বৃহস্পতিবারের রাত হলো সপ্তাহের সেরা দিন কারন এই রাত হলো জুমার রাতে। জুমআর রাতে সকল নবী ও আম্বিয়াদের কাছে তাদের জাতির। এবং পিতা-মাতার কবরে তাদের সন্তানদের আমল দেখানো হয় মর্মে হাকিম তিরমিযী রহ. তার রচিত নাওয়াদিরুল উসূল নামক কিতাবের ২১৩ নং পৃষ্ঠায় একটি বর্ণনা এনেছেন।
প্রতি বৃহস্পতিবারে আল্লাহ তায়ালার সামনে বান্দাদের নেক ও বদ আমল দায়িত্বশীল ফেরেস্তারা পেশ করে থাকেন মর্মে সহীহ হাদিসে এসেছে। এই জন্যই নবীজী সা. বৃহস্পতিবার রোযা রেখেছেন। আমরা প্রত্যেক উম্মতি মুহাম্মদি ভাইয়েরা বোনেরা সকলে বৃহস্পতিবারে রোজা রাখার জন্য চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
প্রতি বৃহস্পতিবারে আল্লাহ তায়ালার সামনে বান্দাদের নেক ও বদ আমল দায়িত্বশীল ফেরেস্তারা পেশ করে থাকেন মর্মে সহীহ হাদিসে এসেছে। এইজন্যই নবীজী সা. বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন। নবীজী সা. ইরশাদ করেছেন যে,
حدثنا محمد بن يحيى حدثنا أبو عاصم عن محمد بن رفاعة عن سهيل بن أبي صالح عن أبيه عن أبي هريرة : أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال تعرض الأعمال يوم الإثنين والخميس فأحب أن يعرض عملي وأنا صائم (سنن الترمذى-كتاب الصوم، باب ما جاء في صوم يوم الإثنين والخميس، رقم الحديث-
অর্থাৎ হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। নবীজী সা. ইরশাদ করেছেন যে, সোম ও বৃহস্পতিবার আমল উপস্থাপন করা হয়। আমি এটা পছন্দ করি যে, যখন আমার আমল এমন অবস্থায় উপস্থাপিত হোক যখন আমি রোযাদার। (সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-৭৪৭)
এই হাদিসে নবীজী সা. এর কাছে উপস্থাপনের কথা বলা হয়নি। নবীর আমল তার নিজের কাছে উপস্থাপন করার কোন অর্থ হয়না। মানে হল আল্লাহর কাছে উপস্থাপন করা হয়। এই ব্যাখ্যাটির পক্ষে অর্থাৎ আল্লাহর কাছে আমল উপস্থাপন করা হয় এই মর্মে স্পষ্ট বর্ণনা এসেছে আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরী রহ. এর তিরমিযী শরীফের তাক্বরীর আল আরফুস শাজী নামক ব্যাখ্যগ্রন্থে। যার ভাষ্য হল-
واما وجه الصوم يوم الاثنين ففى رواية عن ابن عباس بسند قوى …….لان يوم الأثنين والخميس ترفع الاعمال الى الله تعالى
অর্থাৎ সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখার কারণ হল, হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে সহীহ বর্ণনায় এসেছে যে, এই দু’দিন আল্লাহ তায়ালার কাছে আমল উপস্থাপন করা হয়। (আল আরফুস শাজী-রোযা অধ্যায়, সোমও বৃহস্পতিবার রোযা প্রসঙ্গে, পৃষ্ঠা নং-২৯৬)
বৃহস্পতিবার সকালে এশরাকের নামাজের পর ৪ রাকাত চাশতের নামাজ পড়ে ৪১ বার সূরা ইখলাস পাঠ করে রাব্বুল আলামিনের কাছে খুব বেশি কান্নাকাটি করবেন দুয়া করবেন মনের যত আশা আছে রাব্বুল আলামিনের কাছে পেশ করবেন ইনশাআল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনার সকল চাওয়া পাওয়া পূরণ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
বৃহস্পতিবারে আসরের নামাজের পর সূরা ইয়াসিন পড়বেন আর যারা সূরা ইয়াসিন পাড়েন না তারা সূরা ইখলাস পড়ে রাব্বুল আলামিনের কাছে দুয়া করবেন। সূত্র: মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশন