শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নবী-রাসুলদের স্মৃতিধন্য মসজিদুল আকসা

মধ্যপ্রাচ্যের দক্ষিণাংশের একটি ভূখণ্ড ফিলিস্তিন, যা ভূমধ্যসাগর ও জর্ডান নদীর মধ্যে অবস্থিত। এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা এই তিন মহাদেশের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানে রয়েছে ফিলিস্তিন। আলকুদুস, নাবলুস, গাজা, আসকালান ফিলিস্তিনের অন্যতম শহর। ফিলিস্তিনের ভূমি অসংখ্য নবী-রাসুলের স্মৃতিবিজড়িত, এর আশপাশে অনেক নবী-রাসুলের কবর রয়েছে।

এটি দীর্ঘকালের ওহি অবতরণস্থল, ইসলামের কেন্দ্র এবং ইসলামি সংস্কৃতির চারণভূমি। ফিলিস্তিন একটি আরব ভূমি এবং মুসলমানদের আবেগের ভূমি। ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে মসজিদে আকসা এবং সমগ্র ফিলিস্তিনের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য অনেক। পবিত্র কুরআন-হাদিসে ফিলিস্তিনের অসংখ্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এই ভূমিকে আল্লাহ তায়ালা বরকতময় ভূমি বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘পবিত্র ও মহিমাময় সেই সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতের বেলা মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা ভ্রমণ করিয়েছেন, যার আশপাশ আমি বরকতময় করেছি। তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১)

মক্কা ও মদিনার পর মুসলমানদের কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও পবিত্রতম শহর ফিলিস্তিনের কুদুস। এর পবিত্রতা, শ্রেষ্ঠত্ব ও আবেগের মূলে রয়েছে মসজিদে আকসা। ইসলামের দৃষ্টিতে মসজিদুল আকসা তৃতীয় শ্রেষ্ঠ বরকতপূর্ণ মসজিদ। এই মসজিদের সঙ্গে মিশে আছে আমাদের নবীজির মেরাজের স্মৃতি। মেরাজের রাতে এই মসজিদে পূর্ববর্তী নবী-রাসুলগণ মহানবী (সা.)-এর ইমামতিতে নামাজ আদায় করেন।

নবীজি (সা.)-এর গম্বুজ

 

পবিত্র কাবা শরিফের পর পৃথিবীতে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ এটি। হজরত আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, ‘আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! দুনিয়াতে প্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে? তিনি বললেন, মসজিদুল হারাম। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোনটি? প্রতিউত্তরে তিনি বললেন, তারপর হলো মসজিদুল আকসা। অতঃপর আমি জানতে চাইলাম যে, উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের? তিনি বললেন চল্লিশ বছরের ব্যবধান। (বুখারি, হাদিস : ৩১১৫)

এই মসজিদটি ইসলামের প্রথম কেবলা। রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরতের পর ১৬-১৭ মাস মসজিদে আকসার দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেছেন। এরপর আল্লাহ পাকের আদেশে কাবা পরিবর্তন হয়ে বায়তুল্লার দিকে কেবলা নির্ধারণ হয়েছে। সে হিসেবে বাইতুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের প্রথম কেবলা। এখনও এই মসজিদে নামাজ পড়ার অসংখ্য সওয়াব রয়েছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মসজিদুল হারামে এক রাকাত নামাজ এক লাখ নামাজের সমান। আমার মসজিদে (মসজিদে নববী) এক রাকাত নামাজ এক হাজার নামাজের সমান এবং বায়তুল মাকদিসে এক নামাজ পাঁচশ নামাজের সমান। (মাজমাউজ জাওয়াইদ : ৪/১১) 

তা ছাড়া মুকাদ্দাসে যারা নামাজ আদায় করবে তাদের জন্য এই মসজিদের নির্মাতা হজরত সুলাইমান (আ.) বিশেষ দোয়া করে গেছেন। বর্ণিত হয়েছে, ‘হে আল্লাহ! যে ব্যক্তি এই মসজিদে নামাজের উদ্দেশে আগমন করবে, আপনি তাকে সেদিনের মতো নিষ্পাপ করে দিন, যেদিন সে দুনিয়াতে এসেছিল (ইবনে মাজাহ : ১৪৭৯)। অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা মসজিদুল আকসায় যাও, সেখানে গিয়ে সালাত আদায় করো। কেননা, তাতে এক ওয়াক্ত সালাত আদায় করা অন্যান্য মসজিদে এক হাজার সালাত আদায়ের সওয়ার পাওয়া যায়। আর যে ব্যক্তি মসজিদুল আকসায় যাওয়ার শক্তি-সামর্থ্য রাখে না, সে যেন তাতে দীপ জ্বালানোর জন্য তেল হাদিয়া হিসেবে প্রেরণ করে। কেননা যে বায়তুল মাকদিসের জন্য হাদিয়া প্রেরণ করে, সে তাতে নামাজ আদায়কারী ব্যক্তির মতো সওয়ার লাভ করবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৫৭)

বিশ্বনবী (সা.)-এর বোরাক বাঁধার জায়গা

 

ফিলিস্তিন মহান আল্লাহর কাছেও পছন্দনীয় ভূমি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইসলামি বাহিনী শিগগিরই কয়েকটি দলে দলবদ্ধ হবে। একটি দল শামে, একটি ইয়েমেনে ও অন্য একটি ইরাকে। ইবনে হাওয়ালা (রা.) জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি সে যুগ পাই, তখন আমি কোন দলটিতে যোগদান করব, তা বলে দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তুমি শামের বাহিনীতে থাকবে, কেননা তা আল্লাহর পছন্দনীয় ভূমির একটি, সেখানে তিনি তাঁর সর্বোৎকৃষ্ট বান্দাদের একত্র করবেন। আর যদি তুমি তাতে যোগদান না করো, তা হলে তুমি ইয়েমেনের বাহিনীকে গ্রহণ করো, আর তোমরা শামের কূপ থেকে পানি গ্রহণ করো। কেননা আল্লাহ আমার জন্য, অর্থাৎ আমার উম্মতের জন্য শাম ভূখণ্ড ও তার বাসিন্দাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৪৮৩) 

তবে দুঃখজনকভাবে মুসলমানদের হাজার বছরের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এ পুণ্যভূমি এখন অভিশপ্ত ইহুদিদের করালগ্রাসে আক্রান্ত। সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকার অন্যায়ভাবে মুসলমানদের পুণ্যভূমিকে মুসলমান ও ইহুদিদের মধ্যে ভাগ করে দেয়। ফলে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে জায়নবাদী ইহুদিদের অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৭ সালে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল মুসলমানদের প্রাণকেন্দ্র ‘মসজিদুল আকসা’ দখল করে। এরপর থেকে মুসলমানদের প্রতি ইহুদিদের জুলুম-নির্যাতন ও অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে, যা আজও চলছে। মনে রাখতে হবে; ফিলিস্তিন একটি আরব ভূমি এবং মুসলমানদের প্রাচীন ভূমি। এখানে ইহুদিদের যে অধিকারের কথা বলা হয়, তার ঐতিহাসিক কোনো ভিত্তি নেই। কারণ ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দেড় হাজার বছর আগেই আরব মুসলমানগণ এই অঞ্চল আবাদ করেছিল। ইহুদিবাদীদের দাবির ভিত্তি শুধু এতটুকুই যে, কয়েক হাজার বছর আগে খুবই স্বল্প কিছু কাল ফিলিস্তিনের ছোট্ট একটা অংশে তারা রাজত্ব করেছিল। সেটা এখন কেবলই ইতিহাসের গল্প, গত দুই হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে এ গল্পের কোনো যোগসূত্র নেই। সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত ইহুদিদের এই ভূখণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক কোনো ধরনের নেতৃত্ব সম্পর্ক ছিল না। ঐতিহাসিক দলিল প্রমাণের আলোকে আল-আকসা ও জেরুজালেম সব ধরনের আইনের ভিত্তিতেই শুধু মুসলমানদের; অন্য কারও নয়।

প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সময় উড়ে এসে জুড়ে বসা দখলদার ইহুদি গোষ্ঠী এখন পুরো ফিলিস্তিন নিজেদের দাবি করে দখল করতে চাচ্ছে। ১৯৪৮ থেকে জায়নবাদী ইহুদিরা ফিলিস্তিন দখলের নামে অবিরাম মানুষ হত্যা করে চলছে। নারী, শিশু, সামরিক-বেসামরিক জনগণকে পাখির মতো বোমা ফেলে মারছে। সকাল-সন্ধ্যা বুলডোজার নিয়ে এসে ধ্বংস করে দিচ্ছে পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি।

ঈসা (আ.)-এর প্রত্যাবর্তনস্থল

 

খোদ ধার্মিক ইহুদি শ্রেণির কাছেও বর্তমান ইসরাইল রাষ্ট্র বৈধ নয়। তাওরাত ও তালমুদ অনুযায়ী তারা বিশ্বাস করে, পৃথিবীর শেষ সময় মাসিহ (দাজ্জাল) এসে তাদের জন্য শান্তির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবেন। এ কারণেই ধার্মিক ইহুদি সম্প্রদায় এখনও মূল মসজিদুল আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে না, তারা শান্তির বাদশা আগমনের আগে সেখানে প্রবেশ করাকে পাপ মনে করে এবং এ কারণে তারা দেয়ালের বাইরের একাংশে উপাসনা করে। অতএব জায়নবাদী ইহুদিদের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে সোচ্চার হতে হবে।

আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি দখলদার জালেম ইসরাইলের এ জুলুমের অবসান একদিন হবে। পবিত্র আল-আকসাকে ঘিরে আবার জেগে উঠবে নিরাপদ প্রাণের স্পন্দন। অসংখ্য নবী-রাসুলের পদধন্য এ ভূমি আবার আনন্দে হাসবে। মহান আল্লাহ কাছে আমরা এ দোয়া করি।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত