‘হজের খরচ কমিয়ে প্যাকেজ ঘোষণা করা সরকারের দায়িত্ব’
হজের প্যাকেজ থেকে সব ধরনের ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ লাখ টাকা পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ। আগামী ২০ মার্চের মধ্যে এই দাবি মানা না হলে ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দেবে সংগঠনটি। শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, সরকারের উদাসীনতা, অবহেলা ও দুর্নীতিবাজ ও মুনাফাখোরদের নিয়ন্ত্রণহীন আধিপত্যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ধর্ম কর্ম পালন করা দিন দিন কঠিন থেকে কঠিন হয়ে পড়ছে। মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা সরকারের প্রধান কর্তব্য থাকলেও তারা সেটা পালনে বছরের পর বছর ব্যর্থ হয়ে মিডিয়ার সামনে আওয়াজ দিয়ে যাচ্ছে। বাস্তবে তাদের কোনো কর্মতৎপরতা আছে বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, হজের খরচ কমিয়ে প্যাকেজ ঘোষণা করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু তা না করে সিন্ডিকেটের সদস্যদের লাভবান করতে সাধারণ ধর্মপ্রাণ হজযাত্রীদের কষ্টের জমানো অর্থ দিয়ে বিমানের লোকসান কাটিয়ে লাভবান করতে প্রায় এক লাখ টাকা বিমান ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। যে ক্ষেত্রে সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার কথা, সেক্ষেত্রে ভ্যাট ট্যাক্স আরোপ করে অমানবিক প্যাকেজ ঘোষণার মাধ্যমে সরকার মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে। কোরবানির সময়ে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য কমিয়ে দিয়ে গরিবের হক নষ্ট করে অমানবিক কাজ করে যাচ্ছে।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুহাম্মাদ মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদুজ্জামান মোল্লা, মো. আবু শোয়াইব খান, মো. আব্দুল কুদ্দুস, মো. আবদুর রাজ্জাক, মুফতি মুজিবুর রহমান, মো. শফিকুল ইসলাম বিশ্বাস ও মুফতি ইসহাক মোহাম্মদ আল আমিন প্রমুখ।
এমএইচ/এসএন