শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টকে ৬৫ হাজার ভক্তের শ্রদ্ধা

ভ্যাটিকানে সাবেক পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্টের মরদেহে সোমবার (২ জানুয়ারি) পর্যন্ত মোট ৬৫ হাজার ভক্ত শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

সংবাদ মাধ্যম এপি জানিয়েছে, ইতালির রোমে খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য শাসিত দেশ ভ্যাটিকান থেকে পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্ট চিরকালের জন্য মর্ত্যরে পৃথিবীতে ঘুমিয়ে আছেন একজোড়া লাল বালিশে। তিনি সেন্ট পিটারসের রাজ্যের বাসিলিকাতে শুয়েছেন। সোমবার হাজার, হাজার, ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে একের পর একজন পোপকে সম্মান জানিয়েছেন যিনি একদশক আগে ইতিহাসে প্রধান খ্রিস্টান ধর্মযাজক হিসেবে অবসর গ্রহণ করে বিশ্বকে বিষ্মিত করে দিয়েছেন।

সূর্যের আলো নিভে যাওয়ার পর পোপের শাসনকালকে সহযোগিতা করা ১০ জন কার্ডিনাল জানিয়েছেন, তারা সাবেক পোপ এমিরেটাসকে চিরশান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ার কাজে সাহায্য করছেন ও তার চলে যাওয়ার বিষয়াদি রক্ষণাবেক্ষণ করছেন।

তারাই সাবেক পোপের মরদেহ কাঠের বিশেষ খাটিয়াতে কাপড়ে মুড়ে বহন করে এনেছেন বাসিলিয়াতে, আসার পর তার বিশ্রামের স্থল মূল বেদীতে, বেরনিনির সুউচ্চ ব্রোঞ্জ ছাউনির নীচে।
প্রথম তিনটি দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত খেয়াল করে তার মরদেহ ও আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার বিশেষ দায়িত্বে নিয়োজিত ইতালির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্তত ২৫ থেকে ৩০ হাজার সোমবার আসতে পারেন। তবে প্রথম দিনের শেষে তাকে সর্বোচ্চ সম্মান করেছেন ৬৫ হাজার মানুষ। তার শবাধারের সম্মানের বিষয়ে নিয়োজিত হয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ভ্যাটিকান।

ক্রমাগত অসুস্থ হতে থাকা ৯৫ বছরের সাবেক পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্ট শনিবার সকালে মারা গিয়েছেন। তারপর ‘চ্যাপেল অব দি মনাস্ট্রি’তে শ্রদ্ধা জানানোর পর একটি অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে আসা হয়েছে ষোড়শ বেনেডিক্টকে বাসিলিকাতে।

পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্টের দীর্ঘকালের ব্যক্তিগত সচিব আর্চবিশপ ও তার স্বদেশী উচ্চপযায়ের ধর্মযাজক গিয়ক গ্যান্সভাইন এবং একজন যাজিকা সম্প্রদায়ের নারী, যিনি তার বাড়ির কাজগুলো করতেন, তার অ্যাম্বুলেন্সকে তাদের ভজনালয় থেকে অনুসরণ করেছেন।

নিঃশব্দে ধমীয় রীতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাবেক পোপকে নিয়ে আসা হয়েছে বাসিলিকাতে। তারপর সাবেক পোপের শরীরকে একটি পাশের দরজা নিয়ে প্রবেশ করানো হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের গির্জা থেকে আসা একজন বিশেষ সুইস রক্ষী-যাজক সম্প্রদায়ের, সবার আগে আনুষ্ঠানিক ধর্মীয় রীতিতে পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্টকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

কয়েকজন নারী তাদের হাত বাড়িয়ে বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে সাবেক পোপের পবিত্র দেহ স্পর্শ করে আর্শীবাদ ও ভালোবাসা লাভ করেছেন এবং জানিয়েছেন।

পদবী ও মর্যাদা অনুসারে মানুষদের বাসিলিকাকে প্রবেশের অনুমতি প্রদানের আগেও, ধমীয় প্রার্থনাগুলো পাঠ করা হয়েছে।

পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্টের শবাধারের শেষ বিদায়ের কাজে নিয়োজিত খ্রিস্টান ধমযাজকরা সকালে তার জন্য পবিত্র গির্জাতে বিশেষ বেদিটি সজ্জিত করেছেন। তারপর তারা গণপ্রার্থনা ও দেখার অনুমতি প্রদান করেছেন। সারি, সারি চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে তাদের জন্য-যারা ধমীয় ব্যক্তি ও তার শেষ যাত্রায় সঙ্গী হতে চেয়েছেন।

বাসিলিকার দায়িত্বে নিয়োজিত আর্চবিশপ কাডিনাল মাউরো গ্যামবেত্তি পবিত্র জল পাঠ করে তার শরীর জুড়ে ছিটিয়ে দিয়েছেন।

পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের হাতগুলো আলিঙ্গনাবদ্ধ ছিল। তার আঙ্গলুগুলোতে ছিল একটি পবিত্র জপমালা।

সকাল নয়টার সামান্য পরে, বিশ্বসময় আটটা-বাসিলিকার বিরাট দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে জনসাধারণের জন্য, যারা ঘন্টার পর ঘন্টা মধ্যরাত, প্রাক- ভোর থেকে অপেক্ষা করেছেন, তাদের প্রার্থনা ও ভালোবাসা সাবেক পোপের জন্য প্রদর্শন করতে।

তাদের সবার ধর্মীয় শাসনকাল তিনি স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে ২০১৩ সালে পদত্যাগের মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছেন, ইতিহাসের প্রথম পোপ হিসেবে ৬শ বছরের মধ্যে।

শ্রদ্ধায় পূর্ণ এবং কৌতুহলে মগ্ন-তার আচারাদি, পোপের দর্শন, কার্ডিনালদের দেখা-ভ্যাটিকানে প্রবেশ ইত্যাদি কারণে সাধারণের হচ্ছে। তারা একের পর এক দীর্ঘতম সারিতে বাসিলিকার কেন্দ্রে চিরশায়িত এমিরেটাস পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টকে শ্রদ্ধা প্রদশন করছেন। পোপকে তার পোশাকে সাজানো হয়েছে।

দশনাথীরা জানিয়েছেন, তারা মধ্যরাত থেকেও সেন্ট পিটারর্স স্কয়ার ঘিরে রেখেছেন তার জন্য।

পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্টকে তার সহকর্মীরা চিরাচরিত নিয়মানুসারে তার পোপ মুকুটে সাজিয়েছেন, একটি পবিত্র ক্রুশ ধরে রেখেছেন তার হয়ে একজন বিশপ পাশে দাঁড়িয়ে। একটি লাল ঘড়িও আছে।

৩৫ বছরের ফিলিপ টুসিও জানিয়েছেন, তিনি এসেছেন পোপ সন্দর্শনে এক রাতের মধ্যে ট্রেনে চড়ে ইতালির ভেনিস থেকে। ‘আমি পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছি, কেননা তিনি আমার জীবন ও শিক্ষায় একটি মৌলিক ভূমিকা রেখেছেন’, বলেছেন ব্যক্তিগতভাবে। এই যুবক আরো বলেছেন, ‘যখন আমি তরুণ ছিলাম, বিশ্ব যুব দিবসের কার্যক্রমগুলোতে অংশগ্রহণ করেছি। আমি জাম্বুরিগুলোতে গিয়েছি আমাদের আরো আগের স্কাউটিংয়ে। তিনি আমাদের দুই আয়োজনেই এসেছেন। তিনি তার সদয় ও প্রাথর্নাময় হাতগুলো আমাদের জন্য প্রসারিত করেছেন এবং পোপ হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন।’

টুসিও আরো জানিয়েছেন যে, তিনি নিজে থিওরলজি বা ধর্মতত্ব পড়েছেন।

তিনি আরো বলেছেন, ‘যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, তিনি আমাকে পোপ হিসেবে সাহায্য করেছেন। তিনি আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিলেন আমি যা হয়েছি, আমি যা, যেভাবে আমি চিন্তা করি এবং আমার মূল্যবোধগুলো, সবখানে তিনি জড়িয়ে আছেন।’

যারা বাসিলিকাতে পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্টকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এসেছেন, তাদের ধর্মীয় বিষয়াদি দেখাশোনা করেছেন কার্ডিনাল ওয়াল্টার ক্যাসপার, তিনিও সাবেক পোপের স্বদেশী। তিনি একজন অন্যতম জামান ধর্মতত্ববিদ। তিনি ভ্যাটিকানের ক্রিশ্চিয়ান ইউনিটের প্রধান হিসেবে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন যখন ষোড়শ বেনেডিক্ট পোপ ছিলেন।

‘এমিরেটাস পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট রেখে গিয়েছেন তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান-ধমতত্বে এবং ধর্মীয়কেন্দ্রেও। তিনি আরো রেখে গিয়েছেন, পোপ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান, বলেছেন কার্ডিনাল ওয়াল্টার ক্যাসপার।

তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘তার পদত্যাগ কোনো ধরণের দুর্বলতার চিহ্ন নয়, একটি শক্ত অবস্থান, একটি মহামানবতার উদাহরণ। কারণ পোপ হিসেবে এমন কোনো চ্যালেঞ্জ নেই, যেগুলোর তিনি মোকাবেলা করেননি।’

কার্ডিনাল ওয়াল্টার ক্যাসপার তাদের মধ্যে একজন, যারা পোপ হিসেবে ষোড়শ বেনেডিক্টকে নিযুক্ত হতে সহযোগিতা করেছেন ২০০৫ সালে। তিনি আরো বলেছেন, ‘পোপ হিসেবে ষোড়শ বেনেডিক্টের পদত্যাগ পোপের কর্মকাল ও জীবনকে আরো মানবিকতা প্রদান করেছে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, ক্যাথলিক গির্জাগুলোর প্রধান ও ভ্যাটিকানের প্রথম ব্যক্তি-পোপ একজন মানুষ এবং এই কর্মকাল আজীবন নয়-তার শারীরিক ও মানসিক স্বক্ষমতাগুলোর ওপর নির্ভরশীল।’

সোমবার পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্টকে চিরবিদায় জানানোর সময়সীমা বতমান পোপ ফ্রান্সিস, ভ্যাটিকান ও কার্ডিনালরা নিধারণ করেছিলেন ১০টি ঘন্টা। গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার ১২ ঘন্টা সাবেক পোপকে শ্রদ্ধা জানানোর সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন তারা।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে তার শেষ বিদায় আনুষ্ঠানিক ধর্মীয় রীতিতে পোপ হিসেবে, তার ইচ্ছে অনুসারে প্রদান করা হবে। সকল কাজের মতো ইতিহাসের প্রথম পোপ হিসেবে সাবেক পোপকে বিদায় জানানোর কর্মে নেতৃত্ব প্রদান করবেন পোপ ফ্রান্সিস সেন্ট পিটারর্স স্কয়ারে। তারা এমিরেটাস পোপের শনিবার মৃত্যুসংবাদ ঘোষণা করার সময়ই তার শেষ ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন।

এদিন তার ভ্যাটিকান নিশ্চিত করেছে যে, পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্টকে কোথায় সমাধিস্থ দেওয়া হবে। তার ইচ্ছে রেখে, সাবেক পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্টের সমাধি পোপ ফ্রান্সিস ও তার অনুচরবর্গরা নিধারণ করেছেন, সেই পবিত্র গুহাতে, বাসিলিকার নীচে, যেটি তার আগের পোপ সেন্ট জন পল-২ ব্যবহার করেছেন। ২০১১ সালের ১ মে একজন ‘সাধু’ হিসেবে এখানেই হাজার, হাজার মানুষের অনুরোধে পোপ জন পলকে একজন ‘সাধ’ু হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বর্গলাভের ধর্মীয় ক্রিয়াদি সম্পন্ন করা হয়েছে-জানিয়েছেন ভ্যাটিকানের মুখপাত্র মাতেও ব্রুনি।

তারা জানিয়েছেন, বাসিলিকার দুই পাশের স্তম্ভগুলো দিয়ে পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্টকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নিরাপত্তার আনুষ্ঠানিক নিয়ম মেনে ও ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করে দর্শনাথীরা প্রবেশ করছেন একে, একে। নিরাপত্তা ও কর্ম সুবিধার্থে এবং পোপের মৃত্যুবরণে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে। আছে শরীর এক্স-রে মেশিনও। তাদের মধ্যে ছিলেন ৬২ বছরের নারী মারিনা ফেরনাতেও।

ওএফএস/এএস

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত