বড়দিনে সম্প্রীতির পৃথিবী গড়ে তোলার আহ্বান
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন। দিনটি উদযাপনে রাজধানীর গির্জাগুলোতে নানা আয়োজন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইহলোকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রার্থনায় চলছে। ভক্তরা বলেন, যিশু মুক্তিদাতা, শান্তিদাতা।
যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিনে বিশ্বজুড়ে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপন করা হয়। বড়দিন উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে পবিত্র জপমালা রাণীর গির্জায় দেখা গেছে, গির্জার গেট থেকে শুরু করে সর্বত্র লাল সবুজ এলইডি বাল্বের আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। মূল গেটে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।
মেরিন রোজারিও বলেন, যিশু আমাদের মুক্তিদাতা, শান্তিদাতা। তিনি বিশ্বের শান্তি, মুক্তি ও আনন্দ আর মিলন ঘটাতে পৃথিবীতে এসেছেন। কিন্তু এখন আমরা দেখছি ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি মারামারি, এতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করি। আমরা ঈশ্বরের উপর নির্ভর করি। ঈশ্বরের পক্ষে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। তার মাধ্যমে এই পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসুক। মানুষে মানুষে মিলন ঘটুক। মানুষ মুক্তি, আনন্দ ও স্বাধীনতা লাভ করুক।
গির্জার প্রবেশকারী সবাইকে আর্চওয়ে গেটের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়েছে। এ ছাড়া গির্জার সার্বিক নিরাপত্তায় গেটে পুলিশ এবং র্যাব সদস্যরা কাজ করছেন।
এদিকে বড়দিনের প্রথম প্রার্থনা শুরু হয় সকাল ৭টায় এবং দ্বিতীয় প্রার্থনা অর্থাৎ শেষ প্রার্থনা শুরু হয় সকাল ৯টায়। প্রার্থনায় যোগ দিতে যিশু ভক্তরা শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে গির্জায় ভিড় জমিয়েছেন। গির্জার ভেতর থেকে শুরু করে বাইরে সব জায়গায় পরিপূর্ণ করে যিশুর ভক্তরা প্রার্থনায় মগ্ন হয়েছেন।
যিশুখ্রিষ্টের জন্ম উৎসবের প্রার্থনায় যোগ দিতে কোলের শিশু থেকে শুরু করে প্রবীণ প্রত্যেকের সরব উপস্থিতি। প্রত্যেকের পোশাকে নতুনত্বের ছোঁয়া। প্রাণে আনন্দের উচ্ছ্বাস।
এসময় যিশুভক্ত জিলিয়ান গুডা গণ্যমাধ্যমকে বলেন, আজকে আমরা যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন পালন করছি। একটু আগে যিশুখ্রিষ্টের জন্মযজ্ঞ হয়ে গেল। আমি একজন খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারী হিসেবে বলতে চাই, আপনারা শান্তি বজায় রাখেন।
তেজগাঁও পবিত্র জপমালা রাণীর গির্জার প্রধান যাজক ফাদার সুব্রত বনিফাস গমেজ বলেন, প্রতিনিয়ত যিশুকে ধারণের চেষ্টা থাকে আমাদের। বিশ্ববাসী প্রতি আমার আহ্বান শান্তি ও সম্প্রীতিময় এক পৃথিবী গড়ে তুলতে সবাই যেন এগিয়ে আসে।
বাংলাদেশে খ্রিষ্ট সম্প্রদায়ের বাংলাদেশ প্রধান আর্চ বিষয়ক বিজয় অ্যান্ড ডি ক্রুজ বলেন, প্রার্থনা করলাম সকাল ৯টার সময়। তখন আমরা বেদি মঞ্চে গিয়েছি। আমরা নবজাতক শিশু যিশুখ্রিষ্টের প্রতিকৃতিতে ধূপআরতি দিয়েছি। তারপর আমরা প্রার্থনা প্রবেশ করেছি এবং হৃদয় মন পরিবর্তন করেছি। ঈশ্বরের বাণী শুনেছি। উপদেশ বাণী রাখা হয়েছে।
কেএম/এসএন